পার্থপ্রতিম ঘোষ এবং অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: বউবাজারে (Bowbazar) ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East West Metro) সুড়ঙ্গে জল ঢোকা বন্ধ হয়েছে। মেট্রো সূত্রে খবর, নতুন করে মাটি ক্ষয় হয়নি। গতকাল রাতভর পর্যবেক্ষণ করেন মেট্রোর আধিকারিকরা। এই মুহূর্তে ওই এলাকায় মাটির শক্তি বাড়ানোর কাজ চলছে।


অন্যদিকে, মদন দত্ত লেন ও বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের (BB Ganguly Street) আরও কয়েকটি বাড়ি আজ খালি করার সম্ভাবনা। বিপদের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই বউবাজারের ওই এলাকা থেকে দেড়শোরও বেশি বাসিন্দাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখবেন, ১০টি বাড়ি ছাড়া আর কোনও বাড়িতে ফাটল ধরেছে কি না। এর পাশাপাশি, এলাকায় মোতায়েন পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গোটা এলাকা গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।                       


আরও পড়ুন, 'লিস্টের কী হল? পাঠিয়ে দিয়েছি', মানিকের হোয়াটসঅ্যাপে ঘেঁটে নয়া তথ্য ইডির হাতে


প্রসঙ্গত, মেট্রোর টানেলে হু হু করে ঢুকছে জল। কর্দমাক্ত পরিস্থিতি। তার জেরেই বউবাজারে বিপত্তি? কেএমআরসিএল এর এমডি চন্দ্রনাথ ঝা বলেন, 'সুড়ঙ্গে জল কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না, জলের ফোর্স খুব বেশি। কাল থেকে কাজ চলবে।' এদিকে, এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। স্কুল পড়ুয়া সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে এক মা’কে। একইরকম অবস্থা, মদন দত্ত লেনের বাসিন্দা আরও অনেকের। করে বাড়ি ফিরতে পারবেন, এখন সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন তাঁরা।                                      


১০ নম্বর মদন দত্ত লেনের বাসিন্দা অনিমা প্রামাণিকের অবস্থাও তথৈবচ। ৭৩ বছরের অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ক্রিক রোয়ের একটি হোটেলে। নিজে জীবন বিমান সংস্থার এজেন্ট। অন্যের জীবন সুরক্ষিত করাই যাঁর কাজ, তাঁরই জীবন এখন কার্যত অন্ধকার। 


ফাটলের জেরে আতঙ্কে রয়েছেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ও। তাঁর বাড়িও এই বউবাজারেই। এদিন তিনি বলেন, "এটা নিয়ে তৃতীয়বার, বাঁ-দিক মাঠ হয়ে গেছে তিন বছর আগে। এটা নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে, মেট্রো কী ভেবেছে? এই উদ্বিগ্নতা নিয়ে, আতঙ্ক নিয়ে এই চাপ নিয়ে বাস করা যায়। থাকা যায়, আমি সকলের কথা বলছি।"