কলকাতা: স্কুলে ২১ হাজার শূন্যপদে নতুন করে নিয়োগের (recruitment) তোড়জোড় শুরু। জানালেন (announcement) শিক্ষামন্ত্রী (education minister) ব্রাত্য বসু (bratya basu)। তাঁর ঘোষণা, ‘পুজোর মধ্যেই ২১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।’ উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের বিষয়টি স্থির হয়েছে, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর। এ নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তার পরই সিদ্ধান্ত। কিন্তু মেধাতালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, সেই আন্দোলনকারীদের সকলের কি নিয়োগ হবে? ‘সহানুভূতির সঙ্গে আইনকে মেশাতে হবে‘, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর। সঙ্গে সংযোজন, ‘আন্দোলনমাত্রই ন্যায্য নয়‘। টেট-বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। 


কী বললেন ব্রাত্য?
নতুন নিয়োগ নিয়ে শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব, বোর্ড সভাপতি, বোর্ডের সচিব এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে জানান, বৈঠকটি অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে। উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দ্বাদশ এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই এদিনের বৈঠক হয়েছে, জানান ব্রাত্য। তবে টেট-উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে কী হবে, সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি। শুধু বলেছেন, 'আইন এবং সহানুভূতির একটা সুষ্ঠু সমন্বয় হওয়া দরকার। আইনি কী প্রক্রিয়া আছে সেটা নিয়ে আমরা আগামী ৮ তারিখ বৈঠকে বসব। কী কী প্রক্রিয়া আছে, খতিয়ে দেখব।'


নতুন নিয়োগ প্রসঙ্গে...
পুরো প্রক্রিয়াটি যাতে নির্ভুল থাকে সেই প্রস্তুতির জন্য  অন্তত মাসখানেক সময় লাগবে, জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে পুজোর মধ্যে প্রক্রিয়াটি চালু হয়ে যাবে বলে আশা তাঁর। সঙ্গে জানালেন, নিয়োগের নিয়মে ব্যাপক রদবদল করা হচ্ছে। বিষয়টির আইনি সিলমোহর পেতে আইনমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। লক্ষ্য একটাই। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাতে একচুলও ফাঁক না থাকে সেটা নিশ্চিত করা, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন স্কুলশিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন:নীলাদ্রি কন্য়ার বক্তব্য ও তথ্য়ে ফারাক', বিস্ফোরক দাবি সিআইডি-র