কলকাতা: আইনগত বা সাংবিধানিক, কোনও সঙ্কট তৈরি হলে রাজ্যপাল শেক্সপিয়রের হ্যামলেট হয়ে থাকবে না। টু বি অর নট টু বি, শিক্ষাই এটা শেখাবে। জোড়াসাঁকোয় রবীন্দ্র জয়ন্তীর আগে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গতকাল ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় রাজ্যপাল। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'ওঁকে দেখে হ্যামলেটের কথা মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে ম্যাকবেথের কথা।'


রাজ্যপালকে নিশানা শিক্ষামন্ত্রীর: রাজ্য সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা নিয়ে বঙ্গ বিজেপি-র রোষের মুখে পড়েছিলেন। আবার শিক্ষাক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্যও। সেই আবহেই ইঙ্গিতপূর্ণ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জানিয়ে দেন, আইনগত বা সাংবিধানিক সঙ্কটে শেক্সপিয়রের 'হ্যামলেট' হবেন না তিনি (Hamlet)। আর এই মন্তব্যের পাল্টা তাঁর দিকে আক্রমণের তির ছুড়ে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, "আমাদের ভুলে গেলে চলবে না হ্যামলেট কিন্তু শেষপর্যন্ত নিষ্ক্রিয় থাকেনি। সক্রিয় হয়েছিল এবং তারপর তার কী দশা হয়েছিল সেটাও আমরা জানি। যদিও উচ্চশিক্ষা দফতরকে বাইপাস করে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে কুক্ষিগত করার যে মানসিকতা দেখা যাচ্ছে , এটা হ্যামলেটিয় লাগছে না। বরং অনেকটা ম্যাকবেথের মতো লাগছে। তীব্র উচ্চাশা কাজ করছে।''


বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত নির্দেশিকা ঘিরে রাজ্য-রাজভবন সংঘাতের আবহ এখনও কাটেনি। সম্প্রতি রাজভবনের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের থেকে নিতে হবে অনুমোদন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে, তা রিপোর্ট আকারে, প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে, ইমেল করে রাজভবনকে জানাতে হবে। উপাচার্যরা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি আচার্যের সঙ্গে টেলিফোন অথবা ইমেল মারফত কথা বলতে পারবেন। সেই নির্দেশ প্রত্য়াহারের দাবি তুলে রাজ্য়পালকে বেনজির আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।


গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আবার বলেন, "প্রত্যেকদিনই যদি বলেন এত দিনের মধ্যে রিপোর্ট চাই। উপাচার্যরা পরীক্ষা নেবেন, কাজ করবেন না ওঁকে খরচের হিসেব দেবেন? আমার মনে হয়, ওঁকে কেউ ভুল বোঝাচ্ছেন। আমরা আচার্যের বিল ওনাকে পাঠিয়েছে, সম্মতি জানাননি বা ফেরতও পাঠাননি। আমি বলব, বিলটি ফেরত পাঠান, তাহলে আমরা বিলটা আরেকবার বিধানসভায় দেখতে পারি।" প্রত্যেকেরই সীমা জানা উচিত, এমনও জানিয়ে দেন মমতা।


আরও পড়ুন: Skin Care With Coffee: স্ক্রাব হোক বা মাস্ক, ত্বকের যত্নে ঠিক কীভাবে ব্যবহার করবেন কফি?