সৌমিত্র রায়, কলকাতা: প্রবল গরমে বিদ্যুৎহীন এলাকা। তাই মাঝরাতে মেয়রের বাড়ির অদূরে রাস্তায় বসে চলল বিক্ষোভ। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত ১০টা নাগাদ ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ নম্বর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। অভিযোগ, CESC-কে জানানোর পরেও, ৫ ঘণ্টা ধরে আলো-পাখাহীন অবস্থায় কাটাতে হয় বাসিন্দাদের।
প্রবল গরমে বিদ্যুৎহীন এলাকা: এই অবস্থায়, প্রতিবাদে ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পথ অবরোধ করেন বাসিন্দারা। চেতলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। পুলিশের আশ্বাসে রাত ৩টে নাগাদ অবরোধ ওঠে। তখনও বিদ্যুৎ আসেনি। এলাকাবাসীর দাবি, মাসদেড়েক ধরে বিদ্যুতের সমস্যা চলছে। CESC-কে জানিয়েও কাজ হয়নি। CESC-র প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
তীব্রতাপে পুড়ছে বাংলা। পাখার হাওয়াতেও শুকোতে চাইছে না ঘাম। এসি চালিয়ে, যে একটু জিরোবেন, তারও উপায় নেই। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো,জ্বালাপোড়া গরমের মধ্য়ে কলকাতার লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। ফ্য়ান ছাড়া যেখানে এক সেকেন্ডও থাকা যাচ্ছে না, সেখানে শুরু হয়েছে চরম বিদ্য়ুৎ ভোগান্তি। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। গত মাসে, CESC-র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদ্য়ুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে, CESC-কে বিদ্য়ুৎমন্ত্রীর নির্দেশ দেন,পর্যাপ্ত ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডি জি সেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।সর্বত্র সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ কর্মীদের প্রস্তুত রাখতে হবে।
বাংলায় ঘূর্ণিঝড় মোকা-র জেরে উল্টো প্রভাব। ঝড়-বৃষ্টি দূর অস্ত, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে লু-এর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কলকাতায় কাল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। বেলা বাড়লে লু হইবে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় পারদ ৪০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা পৌঁছবে ৪২-৪৩ ডিগ্রিতে। আজ বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, এই ৮ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের তিন জেলাতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। আর এই অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে এলাকা। পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: Skin Care Tips: মুখের ত্বকে ভুল করেও ব্যবহার করবেন না এইসব উপকরণ