কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রীর কলেজে নিয়োগ কি বৈধ? তা নিয়ে এখনই তদন্তের পথে হাঁটছে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যখন বিরোধীদের সাঁড়াশি আক্রমণে নবান্ন, তখনই সম্প্রতি বাম আমলের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাল্টা নিশানা করতে শুরু করেছে তৃণমূল। যার মধ্যে মূলত টার্গেটে রয়েছেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্য। যিনি ২০২১ সালে গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজ থেকে অবসর নিয়েছেন।
কী জানালেন শিক্ষামন্ত্রী?
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'বাম জমানায় সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি পরীক্ষার ভিত্তিতে হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। বিস্তারিত তদন্ত অবশ্যই দরকার। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে কিনা, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে। তৃণমূল সরকার বাম আমলে নিয়োগের শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বলেছে। সেই শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে মামলা হলে আদালত নির্দেশ দিলে বিচার হতে পারে।' মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
রীতিমতো নথিপত্র হাতে নিয়ে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছিলেন পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick) এবং কুণাল ঘোষরা (Kunal Ghosh)। এর পর থেকে জল্পনা শুরু হয়েছিল,তাহলে কি এবার মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগ নিয়ে তদন্ত শুরু করবে রাজ্য সরকার? কিন্তু আপাতত যে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই, তা কার্যত বুঝিতে দিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, “পার্থ ভৌমিক ও কুণাল ঘোষ যদিও কোথাও বলে থাকেন, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর বাম জমানায় চাকরি পাওয়া নিয়ে। ওঁদের দেওয়া নথি ঘেটে দেখতে পাচ্ছি, ওঁর ক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষা হয়েছিল কি না, তা পরিষ্কার নয়। এখন যদি হঠাৎ দফতর থেকে তদন্ত শুরু করি, মমতা বলতে পারেন আমার সঙ্গে কথা না বলে, আমার সরকারি কর্মীর সঙ্গে তদন্ত করছ কেন। তখন কোনও সদুত্তর দিতে পারব না।’’
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: 'পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় হলেন দুর্নীতির মাস্টারমশাই,' বিস্ফোরক ইডি