কলকাতা: "রাজ্য সরকার (West Bengal Government) চায় নিয়োগ করতে। কিন্তু, একদল সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন। আমরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওপর ভরসা রাখছি।'' মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)। 


নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টায় একদল, মন্তব্য ব্রাত্যর: এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "একটা অচলাবস্থা, নানারকম বিতর্ক, গোলমাল সেটা ছাড়িয়ে আমাদের পর্ষদ সভাপতি যখন টেট ঘোষণা করেছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনে শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার ইন্টারভিউ প্যানেল প্রকাশিত হতে চলেছে। টেট পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য এটা করা হয়েছে। একদল বিরোধী চান না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করুন। একটা দল চান রাজ্যে অচলাবস্থা তৈরি হোক। আমরা চাইছি, স্বচ্ছ ভাবে, নৈতিক ভাবে নিয়োগ আমার কাছে নির্দেশ আছে কোনও একটি সুপারিশও গ্রহণ করা হবে না। আমারা এখানে পর্ষদের উপর বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর ভরসা রাখছি।''


২দিন, ২ রাত পার। করুণাময়ীতে আমরণ অনশন আন্দোলনে ২০১৪’র প্রাথমিকের TET উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল থেকে চলছে অনশন। সোমবারের পর মঙ্গলবার, পরপর দু’রাত তাঁরা খোলা আকাশের নীচে রাস্তায় কাটালেন। গতকালের মতো আজও অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা জানিয়েছেন, নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।


প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এদিন বলেন, “ইন্টারভিউ ছাড়া চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। পদ্ধতি মেনে আবেদন করতে হবে। যাঁরা বলছেন দুর্নীতির কথা বলছেন, দুর্নীতি কি প্রমাণিত হয়েছে? আমার আমলে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হচ্ছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে। ইন্টারভিউয়ে বসতেই হবে, ফের জানিয়ে দিলেন পর্ষদ সভাপতি। পর্ষদ সভাপতির কথায়, “২ বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ বিচারাধীন, অভিযোগ তো প্রমাণিত হয়নি। সবাই কি অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছে, কোর্ট কি এটা বলছে? অবৈধভাবে নিয়োগ প্রমাণিত হলে, কোর্ট-সরকার নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। প্রতিদিন আমরা কোর্টে যাচ্ছি, হলফনামা জমা দিচ্ছি। যদি ২০১৪-র টেট প্রার্থীরা মনে করেন বঞ্চিত হয়েছি, তাহলে কোর্টে যান। খালি ওএমআর শিট জমা পড়েছে, এমন কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে আন্দোলন চলছে। অভিযোগ করছে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তাহলে কীভাবে বেআইনিভাবে আন্দোলনকারীদের নিয়োগ? ২ বার ইন্টারভিউয়ে গিয়েছিলেন, তখন কি এই প্রশ্ন তুলেছিলেন? বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে সরকার, পর্ষদের হাতে নেই।''


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: "পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না'' ফের হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারী