কলকাতা: আচার্য রাজ্যপালই এবার উপাচার্য। যে সব বিশ্ববিদ্য়ালয়ে উপাচার্য নেই সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। রাজভবনের এই বেনজির সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কড়া সমালোচনা করে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu)।


বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশ কার হাতে থাকবে? এনিয়ে রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে সংঘাতের আবহেই এবার নতুন বিবৃতি জারি করলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এবার আচার্য রাজ্যপালই উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের আগুনে যেন ঘি পড়ল।


আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ব্রাত্যর: এর আগে আচার্য ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস  রাজ্যের ৮টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করার পাশাপাশি ৩ জন উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ দেন। তারপরও প্রেসিডেন্সি-সহ প্রায় ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে উপাচার্য পদ ফাঁকা রয়েছে। সেখানকার পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে ডিগ্রি সার্টিফিকেট কিংবা অন্য় কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচ্ছেন না বলে তাঁদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিও কোনও আর্থিক ও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এই প্রেক্ষাপটে রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে- অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত, পড়ুয়াদের স্বস্তি দিতে আচার্য সি ভি আনন্দ বোসই উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। এপ্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “রাজ্যপাল তো বাংলা প্রবাদ মেনে চলছেন। যাহা চালভাজা তাহাই মুড়ি। যিনি আচার্য তিনিই উপাচার্য। কী ভেবে উনি এটা বললেন! আইনি পদক্ষেপ নেব বলে ভাবছি।’’

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি, আচার্য ও রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকার - উভয়েরই দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি এক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থই যে সবার আগে, তাও বুঝিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।পাশাপাশি, আচার্য-রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে একতরফা উপাচার্য নিয়োগের যে অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার সেই অভিযোগের বিষয়েও এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট।এই আবহেই এবার উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করার ঘোষণা করলেন আচার্য।

রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে তৃণমূল আমলে নিযুক্ত ২৫ জন প্রাক্তন উপাচার্য নিয়ে তৈরি 'দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরাম'-ও। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা লিখেছে, রাজ্যপাল বা আচার্য বা উপাচার্য- যাই বলা হোক, তিনি বেআইনি কাজের ত্রিস্তর তৈরি করেছেন। পৃথিবীতে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে উচ্চাকাঙ্খী তিনি। তার অবাস্তব ও বেআইনি সিদ্ধান্ত শুধু অদ্ভুত নয়, অমঙ্গলজনক।


আরও পড়ুন: BJP: 'এক দেশ এক ভোট' নিয়ে তৎপর মোদি সরকার, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠন


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI