কলকাতা: শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023)। দিন ক্ষণ ঘোষণা হওয়ার অপেক্ষা শুধু। তাই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সব শিবিরেই। যথারীতি ভাবে বাংলার রাজনীতিতে উত্তাপও বাড়ছে। সেই আবহে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁর দাবি, বিরোধীদের ঝুলিতে ভোট পড়ুক, তা তৃণমূলও (TMC) চায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ বিমুখ থাকলে তাঁদের কিছু করার নেই। 


এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন, দিন ক্ষণ ঘোষণা হওয়ার অপেক্ষা শুধু


পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বেড়ে চলেছে শাসক বনাম বিরোধী বাগযুদ্ধ। সেই আবহেই নিজের দলকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর ধরা পড়ল ব্রাত্যর গলায়। একই সঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন ব্রাত্য। তাঁর বক্তব্য, "আমরাও চাই যে, বিরোধীরা দু'-একটি আসন পাক। সুষ্ঠ পঞ্চায়েত নির্বাচন চায় তৃণমূল। কিন্তু মানুষ বিরোধীদের ভোট না দিলে, আমরা কী করব!"


বিরোধীদের অভিযোগ, আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেদার ভোট লুঠ হয়েছে। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কার্যত ভোট লুঠ করেছে। বিরোধীদের প্রার্থী পর্যন্ত দাঁড় করাতে দেওয়া হয়নি একাধিক জায়গায়। কোনও রকমে প্রার্থী দাঁড় করানো হলেও, তৃণমূলের চোখ রাঙানিতে শেষ মেশ নাম তুলে নিতে হয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিলেও, সুষ্ঠ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পক্ষে তাঁরাও, এমন দাবি শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে।


আরও পড়ুন: Sujan Chakraborty: ‘সার্টিফিকেট দেওয়া তাঁর সাজে, যাঁর যোগ্যতা আছে’, শুভেন্দুর CPM প্রশংসায় ‘স্বার্থ’ দেখছেন সুজন


তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সুষ্ঠ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সপক্ষে সরব হয়েছেন একাধিক বার। অতি সম্প্রতি প্রকাশ্য সভায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, "পঞ্চায়েত ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হবে। কেউ অশান্তি করলে ফল ভাল হবে না। দেশকে পথ দেখাবে বাংলা।"


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সুষ্ঠ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সপক্ষে সরব হয়েছেন


বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "বিচ্ছিন্নতাবাদ, বৈষম্যকে দূর করতে হবে। ২০২১-এর ভোটে হারার পর বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা হচ্ছে। ৪০ কেন ৫০০ সভা করুক, কিছু যায় আসে না। ভোট এলেই বাংলার কথা মনে পড়ে কারও কারও।" তবে অভিষেক সুষ্ঠ নির্বাচনে কথা বললেও তৃণমূলেরই কিছু নেতার আগ্রাসী মন্তব্য ঘিরে নিত্য দিন বিতর্ক দানা বাধছে। তাই শাসক দলের অভিসন্ধি নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তুলে চলেছেন বিরোধীরা।