অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: করোনা (Corona) আবহে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্রুসেলোসিস (Brucellosis)। আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের ২ কর্মীর শরীর নতুন করে ব্রুসেলার সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এ নিয়ে দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে কর্মীদের। তবে, কর্মীদের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে দাবি দফতরের আধিকারিকের।
ভ্যাকসিন (Vaccine) দিতে গিয়ে বিপত্তি! গবাদি পশুর রোগ ছড়াচ্ছে মানব শরীরে। আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ব্রুসেলোসিসে (Brucellosis) আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের ২ কর্মী। সম্প্রতি কুমারগ্রাম ব্লকের এক প্রাণিমিত্রা ও এক প্রাণিবন্ধুর ব্রুসেলোসিস ধরা পড়ায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
জানা গিয়েছে, ১২ নভেম্বর আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের দুই কর্মী ব্রুসোলোসিসে (Brucellosis) আক্রান্ত হয়েছিলেন। যশোড়াঙা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাঁরা ছুটি পেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ব্রুসেলোসিস (Brucellosis) আক্রান্ত হওয়ার খবরে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে অন্তত ৩০ জনের শরীরে ব্রুসেলোসিসের (Brucellosis) উপসর্গ রয়েছে। ব্রুসেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে ছড়ায় এই রোগ।
২০-২৫ সেপ্টেম্বর গবাদি পশুকে ভ্যাকসিনেশন চলছিল। জানা গিয়েছে, ব্রুসোলোসিসেস (Brucellosis) আক্রান্তদের তিন জনেরই ভ্যাকসিনেশনের সময় সিরিঞ্জ ফুটে গিয়েছিল। একজনের চোখে ছিটকে এসেছিল ভ্যাকসিনের তরল। তা থেকেই গবাদি পশুর রোগ মানব দেহে ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট দফতরের ভূমিকা নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ।
কুমারগ্রামের ব্রুসেলোসিসে (Brucellosis) আক্রান্ত মেনকা রায় জানিয়েছেন, প্রাণি সম্পাদক বিকাশ দফতর। সঠিক ভূমিকা পালন করছে না। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। মাথা ব্যাথা, জ্বর, গাঁটে ব্যাথা। শরীরে অস্বস্তি
আলিপুরদুয়ারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর কর্মী ইউনিয়ন সভাপতি দেবেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, এর আগে দুজনের পজিটিভ এসেছিল। দফতরে ডেপুটেশন দিয়েছিসাম। উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পাশে থাকে নি। পরিবারও আতঙ্কে। যাদের উপসর্গ রয়েছে তারাও অর্থের অভাবে পরীক্ষা করাতে পারছেন না। দফতর আমাদের ওপর নির্ভরশীল। সাম্মানিক বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টিকাকরণ করানো হয়েছিল। গুরুত্ব দিচ্ছে না দফতর।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে আক্রান্ত কর্মীদের পাশে থাকার দাবি করছেন আধিকারিক। কুমারগ্রামের ব্লক লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিএলডিও) নয়নকুমার বাটুল জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর অন্যান্য জেলার খবরে এখানকার কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এদেরও সূচ ফুটেছে। শরীর খারাপ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা করানো শুরু করি। দুজন পজিটিভ আসে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর়পক্ষকে জানিয়েছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারি প্রোটকল মেনেই ভ্যাকসিনেশন মেনেই হয়েছিস। সহয়োগিতা করছি।
এই পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়েও ভয়ে রয়েছেন ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত ও উপসর্গ থাকা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীরা।