১৬ নভেম্বর, দক্ষিণ আফ্রিকায় যেখানে করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রন’-এ সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩০০-র কাছাকাছি, ২৫ নভেম্বর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০-তে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, করোনার নতুন এই প্রজাতি কতটা সংক্রমক। ভয় রয়েছে আরও একটি বিষয় নিয়ে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছে, অনেক সময় RT-PCR টেস্টেও ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ছে না। কিন্তু দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, COVID-19 এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আরটিপিসিআর - টেস্টে ধরা পড়ে। 


যদিও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ দেবকিশোর গুপ্ত জানিয়েছেন, ''এই ভাইরাসের যে মিউটেশন হয়েছে তার ফলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা হচ্ছে, তাতে যে রাসায়নিক ব্যবহার হয়, তাতে তা চিহ্নিত না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যে রাসায়নিকে যে স্পাইক প্রোটিন চিহ্নিত করে তার একটি সম্পূর্ণ নষ্ট আরেকটি প্রায় নষ্ট'' । যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, "রাজ্যগুলিকে "ঝুঁকিপূর্ণ" দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের দ্রুত আরটিপিসিআর টেস্ট করতে বলা হয়েছে। '' 


কেন্দ্রের "হার ঘর দস্তক" অব্যাহত রেখে এই বছর শেষের আগেই ১০০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি দিয়ে দেওয়া ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘাটতি মেটানোর প্রচেষ্টা জারি রাখার কথা বলেছে মন্ত্রক।  



ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার। উদ্বেগের এক ডজন দেশ এবং সেখান থেকে আসা যাত্রীদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর-সহ ১২টি দেশ।


কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,



  • এই দেশগুলি থেকে কেউ এলেই তাঁদের RT-PCR টেস্ট বাধ্যতামূলক।

  • RT-PCR টেস্টের ফল পজিটিভ এলে নমুনা জেনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠাতে হবে।

  • তার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত নজরদারিতে রাখতে হবে।