ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা :  বুধবারই হসপিটাল কেয়ার থেকে হোম কেয়ারে পাঠানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ( Buddhadeb Bhattacharjee ) । এমনই খবর উডল্যান্ডস্ হাসপাতাল ( Woodlands Hospital) সূত্রে। ক্রিটিক্যাল কেয়ারের অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি ফিরবেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে আনতে যান মীরা ভট্টাচার্য। 



অনেকদিন পর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ফিরছেন তিনি। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের তরফে তাঁর ফ্ল্যাট স্যানিটাইজ করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি যন্ত্রপাতি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই বাড়ি থেকে বের হন বুদ্ধ-জায়া মীরা ভট্টাচার্য। এবিপি আনন্দর সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি সব শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানান। বলেন, সকলকে ধন্যবাদ ! কথোপকথনে উঠে আসে, বুদ্ধবাবু বাড়ি ফেরার পর নিশ্চিতভাবেই তাঁর দায়িত্ব বাড়বে। ইদানীং অসুস্থতার কারণে নিজে বই পড়তে পারেন না বুদ্ধদেব। তাঁকে নিয়মিত কাগজ পড়ে শোনান স্ত্রী মীরা, গানও চালিয়ে দেন।            


 খেতে হচ্ছে না অ্যান্টিবায়োটিকও            


মঙ্গলবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে যায় উডল্যান্ডস হাসপাতালের ৪ সদস্যের হোম কেয়ার টিম। বাড়িতে চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এখন পুরোপুরি সংক্রমণমুক্ত বুদ্ধবাবু। রক্ত পরীক্ষার সমস্ত রিপোর্ট সন্তোষজনক। খেতে হচ্ছে না অ্যান্টিবায়োটিকও।              


হাসপাতাল সূত্রে খবর, একটা চিকিৎসক দল তাঁর সঙ্গে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে যাবেন। সঙ্গে থাকবেন চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু, চিকিৎসক সোমনাথ মাইতি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও নার্স। বারেবারে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের যন্ত্রপাতির খুঁটিনাটি। আপতকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুরো আইসিইউ সেট-আপেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এরপর সর্বক্ষণের জন্য একজন নার্স তাঁর বাড়িতে থাকবেন। একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টও থাকবেন সারাক্ষণ। মাঝে মাঝে তাঁকে পরীক্ষা করতে যাবেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।            


পরানো থাকবে বাইপ্যাপ ও রাইলস টিউব


হাসপাতালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিছানা থেকে তুলে ইতিমধ্যেই হাঁটা-চলা করিয়েছেন চিকিৎসকরা। রাইলস টিউব পরানো থাকলেও, মুখ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে তরল খাবার খাওয়ানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাড়িতেও বুদ্ধবাবুকে বাইপ্যাপ ও রাইলস টিউব পরানো থাকবে। বুধবারই হাসপাতাল থেকে তিনি ছুটি পাচ্ছেন, তা চূড়ান্ত হয়েছে মেডিক্যাল বৈঠকের পর।  


আরও পড়ুন :


'কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন', ফলের কথা না ভেবে কর্ম? তা কীভাবে সম্ভব? কী বলছে গীতা?