কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : পুরসভা ও পুর কর্মীদের ধন্যবাদ না জানানোয়, ক্ষোভ প্রকাশ করে পুজো কার্নিভালের মঞ্চ ছাড়লেন বর্ধমান পুরসভার (Burdwan Municipality) চেয়ারম্যান। বিতর্ক শুরু হতেই পুরসভাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা শাসক।


বর্ধমানের কার্নিভালে বিতর্ক


বর্ধমানে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে (Durga Puja Carnival) বিতর্ক! পুরসভা ও পুরকর্মীদের ধন্যবাদ না জানানোয়, কার্যত ক্ষোভপ্রকাশ করে মঞ্চ ছাড়লেন তৃণমূল (TMC) পরিচালিত বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার। শুক্রবার বর্ধমানের বড় নীলপুর থেকে শুরু হয় কার্নিভালের র‍্যালি। অংশ নিয়েছিল ৩০টি পুজো কমিটি। কার্নিভালের সূচনা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা। কিন্তু অনুষ্ঠানে পুরসভা ও পুরকর্মীদের কোনও উল্লেখ না থাকায়, ক্ষোভপ্রকাশ করেন তৃণমূল পরিচালিত বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান। বিতর্ক শুরু হতেই পুরসভাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলাশাসক। এদিকে, বর্ধমানের দুর্গাপুজোর কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে।


পুজো কার্নিভাল


পুজো শেষ। উৎসবের রেশ জিইয়ে রেখে আজ রেড রোডে (Red Road) রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) উদ্যোগে পুজো কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর এটাই প্রথম পুজো কার্নিভাল। তাই আয়োজনও আগের বছরগুলোর থেকে কিছুটা আলাদা। এবছর ৯৫টি পুজো কার্নিভালে অংশ নেবে। এক-একটি পুজো কমিটির জন্য বরাদ্দ ৩ মিনিট সময়। প্রতিটি পুজো কমিটির তরফে সর্বাধিক ৫০ জন কার্নিভালে যোগ দিতে পারবেন। প্রত্যেক পুজো কমিটি সর্বাধিক ৩টি ট্যাবলো নিয়ে কার্নিভালে যোগ দিতে পারবে। 
পুজো কার্নিভাল উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে রেড রোড চত্বর। থাকছে বড় LED স্ক্রিন। মুখ্যমন্ত্রীর বসার মঞ্চটি মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এবার কার্নিভালে বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন, তাই রেড রোড চত্বরে কড়া নিরাপত্তা। থাকছে পুলিশ কন্ট্রোল টাওয়ার। কার্নিভালে এবার অংশ নেবে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের স্কুল দীক্ষামঞ্জরীর ছাত্রীরা। কার্নিভালে দেখা যাবে সৌরভের পাড়ার ক্লাব বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের প্রতিমাও।


এদিকে, পুজো কার্নিভাল আয়োজন নিয়ে কড়া ভাষায় সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'কার্নিভাল তো বাংলা শব্দ নয়। প্রকৃত বাংলা করলে বোঝায় মোচ্ছব। আমরা ইতিহাসে পড়েছি, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিম চন্দ্রের লেখায় পুজোটুজোর পর কলকাতার বাবুরা পায়রা ওড়াতেন, এই ধরনের মোচ্ছব করতেন, সেই বাবু সংস্কৃতি বোধহয় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে'।


আরও পড়ুন- 'সরকারি টাকায় মোচ্ছব, বাবুঘাট বা কলকাতার কোনও ঘাটে হলে কার্নিভাল হত না', আক্রমণ শুভেন্দুর