ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : ৫১ পীঠের আরেক পীঠ, বীরভূমের লাভপুরের ফুল্লরা মন্দিরেও ত্রয়োদশী তিথিতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। পীঠ নির্নয় তন্ত্র মতে, এখানে সতীর ওষ্ঠ পড়েছিল। কথিত আছে আজকের বিশেষ দিনে মায়ের কাছে প্রার্থনা করলে, মনস্কামনা পূর্ণ হয়। সেই আশাতেই দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন ফুল্লরা মন্দিরে।  দুর্গাদুর্গাপুজো" data-type="interlinkingkeywords">পুজোর পর  ত্রয়োদশী তিথিতে, বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় বীরভূমে লাভপুরের ফুল্লোরা মহাপীঠে। সতী পীঠের অন্যতম পীঠ এই লাভপুরের ফুল্লরা মহাপীঠ। এই ত্রয়োদশী তিথিতে মায়ের কাছে পুজো দিলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়, এই বিশ্বাসে বহু মানুষ ছুটে আসেন। 


বীরাচারীদের ভূমে বীরভূম
মনের কামনাই দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন এই তিথিতে এখানে।  পুজো দেন মায়ের মন্দিরে। সকাল থেকেই লাভপুর ফুল্লরা মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়েছেন পূণ্যার্থীরা ।  বিশেষ ভোগেরও আয়োজন করা হয় মন্দিরে। ত্রয়োদশী তিথিতে, মায়ের ভোগে থাকে, মাছ, মাংস ডাল দু রকম সবজি টক, পাঁচ রকম ভাজা ও অন্যান্য সামগ্রী।


বীরাচারীদের ভূমে বীরভূম। পঞ্চসতীপীঠের অন্যতম লাভপুরের ফুল্লরা দেবী। 


‘অট্টহাসে ওষ্ঠ পাতো দেবী সা ফুল্লরা স্মৃতা।
বিশ্বেশো ভৈরব স্তত্র সর্বাভীষ্ট প্রদায়ক।।’


কলকাতা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে লাভপুর। বীরভূম জেলার এই অংশ প্রাচীনকালে অট্টহাস নামে পরিচিত ছিল। এই নাম থেকেই মনে পড়ে, চণ্ডীর ব্যাখ্যায় রয়েছে, অসুর নিধনে দেবীর আবির্ভাব হওয়ার পর তিনি অট্টহাসিতে আকাশ বিদীর্ণ করছেন। অশুভের নিধনে শুভ শক্তির জয়োল্লাস।


সতীর ওষ্ঠ পড়েছিল
পীঠ নির্নয় তন্ত্র মতে, এখানে সতীর ওষ্ঠ পড়েছিল। পীঠ নির্নীত হওয়ার শর্ত অনুসারে এখানে কাদর বা কোপাই নদী উত্তর বাহিনী। স্থানীয়ভাবে এর নাম লা ঘাটা। বোলপুর থেকে লাভপুর যাওয়ার পথে ডানহাতে নতুন এই তোরণ নির্মীয় হয়েছে। সেখান থেকে কিলোমিটার খানেক ভিতরে ঢুকলে মূল মন্দির। মন্দির চত্বর খুব প্রশস্ত নয়। গর্ভগৃহের সামনে রয়েছে নাট মন্দির। জগমোহনে রয়েছে হাড়ি কাঠ। তবে এই মন্দির চত্বরের মধ্যে মূল তোড়ণের পাশের শিব মন্দিরটি সবচেয়ে পুরনো। নাটমন্দিরের পড়েই রয়েছে মায়ের ঘাট।


অন্যদিকে শনিবারই শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে শনিবার তারাপীঠে তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে শক্তির আরাধনা। দিনভর বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। কথিত আছে, তারা-মায়ের বোন মৌলাক্ষী মা। ঝাড়খণ্ডের মলুটিতে তাঁর অধিষ্ঠান। মানুষের বিশ্বাস, চতুর্দশীতেই দেখা হয় দুই বোনের। কারণ, মলুটীর মৌলাক্ষী মা পশ্চিমমুখী, তারা মাকেও এদিন বসানো হয় পশ্চিম দিকে মুখ করে।