কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: বর্ধমানের সভায় তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান দিতে গিয়ে বিতর্কে সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। '১২ বছর আগে ছিল এই গেট?' শতবর্ষ অতিক্রান্ত বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনের সভা থেকে প্রশ্ন ছোড়েন যুব তৃণমূল সভানেত্রী। 


বিতর্কে সায়নী ঘোষ: ফের বেফাঁস মন্তব্য করলেন, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।  বুধবার বর্ধমানের শতাব্দী প্রাচীন 'কার্জনগেটের' সামনে সভা করতে আসেন যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁর দাবি, বারো বছর বছর আগে নাকি ছিল না বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী কার্জন গেট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে তৈরি হয়েছে গেটটি।


কী বলেন সায়নী ঘোষ? 


বর্ধমান শহরে কার্জন গেটের সভা থেকে সায়নী ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, "১২ বছর আগে ছিল এই গেট? ছিল এই আলো, এই রোশনাই, ঝকঝকে রাস্তা, এত হাসপাতাল? মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝান।'' কার্জন গেটের সামনের সভা থেকে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন সায়নী ঘোষ। আর যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রীর মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আর এই বক্তব্য সামনে আসতেই ট্রোলের শিকার হয়েছেন তিনি।


১৯০২ সালে বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদ মহতাবের রাজ্যাভিষেক হয়। রাজ পরিবারের আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে ১৯০৫ সালে বর্ধমানে আসার কথা ঠিক হয় লর্ড কার্জনের। তৎকালীন ভাইসরয়ের আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯০৪ সালে সুদৃশ্য তোরণ তৈরি করেন মহারাজ বিজয় চাঁদ মহতাব। নাম হয়, বিজয় তোরণ। পরের বছর বর্ধমানে আলেন লর্ড কার্জন। তার পর থেকে গেটের নাম হয় কার্জন গেট। তাহলে, ১১৯ বছরের পুরনো স্থাপত্যকে কী করে তৃণমূল জমানায় তৈরি বলে দাবি করলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী? তৈরি হয়েছে বিতর্ক। 


এর আগেও বিতর্ক তৈরি করেছেন সায়নী। ২০১৫ সালে একটি ছবি পোস্টের অভিযোগে, তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। অভিযোগ, ওই পোস্টে তাঁর ধর্মীয় ভাবাবেগ আঘাত পেয়েছে। ওই সময় সায়নীর পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী।পরে তৃণমূলে যোগ দেন অভিনেত্রী। বর্তমানে তিনি যুব তৃণমূলের মাথায়। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়েছেন।এবার কার্জন গেট নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে তৈরি করলেন বিতর্ক।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Singur: সিঙ্গুরের জমি ফেরত নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী? জানতে চাইল হাইকোর্ট