রানা দাস, বিটন চক্রবর্তী, আশাবুল হোসেন, কেতুগ্রাম: বর্ধমানের (Burdwan) কেতুগ্রামে (Ketugram) শ্যুটআউট (Shootout), খুন তৃণমূল কর্মী। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে খবর। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম দুলাল শেখ। পুরনো আক্রোশের জেরেই খুন বলে অভিযো জানিয়েছে পরিবার। ঘটনায় তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
মাথায় গুলি করে খুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেতুগ্রামে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয় দুলাল শেখকে। দলের লোকেরাই খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃত তৃণমূল কর্মীর দাদা। আজ সকাল ১০টা নাগাদ কেতুগ্রামের আমগড়িয়া বাজারে চায়ের দোকানে বসে থাকার সময়, তৃণমূল কর্মী দুলাল শেখকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। বালির ব্য়বসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। পরিবারের লোক দলীয় কোন্দলের অভিযোগ করলেও, তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
তৃণমূলের লোকেরাই মেরেছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের এই অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। যদিও মৃতার স্ত্রীর দাবি, ব্য়ক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন হতে হয়েছে তাঁর স্বামীকে। নিহত তৃণমূলকর্মীর স্ত্রীর দাবি, ব্য়ক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন।
মহিলাকে খুনের ঘটনা: সূত্রের খবর, ৪ মাস আগে, কেতুগ্রামে এক মহিলাকে খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত সপ্তাহেই ছাড়া পেয়েছেন তিনি। সেই শত্রুতার জেরেই খুন বলে মনে করছেন মৃতের স্ত্রী। ব্য়বসায়িক শত্রুতার জেরে খুন? পাশাপাশি উঠে আসছে আরেকটি কারণ। খুনর নেপথ্যে ব্য়বসায়িক শত্রুতা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে কেতুগ্রাম থানা।
মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় তৃণমূল কর্মীকে (TMC Worker) কুপিয়ে খুন। গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল কর্মীকে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয়। যারপরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
'কয়েকমাস আগে এশাদুলের ছেলেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়', অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছিল অভিযুক্তরা, দাবি নিহতর পরিবারের। হামলার নেপথ্য়ে কংগ্রেস, অভিযোগ তৃণমূলের। পাল্টা অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। খুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানিয়েছেন এসপি।
কয়েকমাস আগে আক্রান্ত ছেলে: মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার মালপাড়া এলাকার মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে কয়েকমাস আগে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যে সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসাপাতেল ভর্তি করতে হয়েছিল। মাঝে বেশ কিছু সময় কেটে গেলেও তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি বলেই পরিবারের দাবি। সেই ঘটনার জেরে পুলিশে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তা তুলে নিতে এশাদুলের পরিবারের ওপর বারবার চাপ তৈরি করা হচ্ছিল বলেই তাঁদের অভিযোগ।