রানা দাস, কাটোয়া : কোষ্ঠকাঠিন্যর যন্ত্রণা ঘোচাতে আরেক বিপত্তি ! ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটে গেল এক যুবকের সঙ্গে। ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি, কোষ্ঠকাঠিন্যর যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন এক যুবক, যাতে করে ছুটতে হল শল্য চিকিৎসকের কাছে।  করাতে হল অস্ত্রোপচার !

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা? 
যুবক নিজে কোষ্ঠকাঠিন্যের কথা না মানলেও ঘনিষ্ঠ সূত্রে এমনটাই দাবি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পায়ুদ্বার দিয়ে এক ফুট লম্বা  টর্চ ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন কাটোয়ার বাসিন্দা আলাউদ্দিন শেখ। তারপরই শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। প্রাণসংশয় হয়ে যায় পেশায় নির্মাণ কর্মী ওই  যুবকের। জানা গিয়েছে,  শরীর থেকে  টর্চ  বের করতে না পেরে  যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন যুবক । ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ।  পেটের ভিতরে থাকা টর্চে শুরু হয় অদ্ভুত অস্বস্তি। শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে  যুবক নিজেই  কাটোয়া মহকুমা  হাসপাতালে  ভরতি হন।

পায়ুদ্বার দিয়ে প্রবেশ করানো হয় টর্চ
জরুরি বিভাগে গিয়ে নিজের অসুস্থতার কথা জানান তিনি।  অসুস্থতার লক্ষণ দেখে  চিকিৎসক বুঝতে পারেন এই সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি নেই। পায়ুদ্বার দিয়ে প্রবেশ করানো টর্চ বের করে আনা যাবে না। উপায় একমাত্র অস্ত্রোপচার !  শল্য চিকিৎসক তাপস  সরকার তড়িঘড়ি  অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। এই অপারেশনে ঝুঁকি ছিল কিন্তু তাছাড়া উপায়ও ছিল না। 

আরও পড়ুন :


 'পাশ করেনি, স্ত্রী সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরিটা পেয়েছে’, বিস্ফোরক টেট অনুত্তীর্ণার স্বামী


এক ফুট লম্বা টর্চ
অপারেশন করে যুবকের  দেহের ভিতর থেকে বের করে হয় এক ফুট লম্বা একটি টর্চ।  চিকিৎসক তাপস সরকার বলেন, দীর্ঘ চিকিৎসক জীবনে এই রকম ঘটনা কখনও দেখেননি। প্রায় আধঘন্টা অস্ত্রোপচারের পর যুবক এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত ও প্রায় সুস্থ।

খাট থেকে পড়ে গিয়েছিলেন !
অদ্ভূত এই ঘটনার কথা প্রচার হতেই সংবাদ মাধ্যম পৌঁছে যায় হাসপাতালে।  ক্যামেরা দেখে লজ্জায়  মুখ ঢাকার চেষ্টা করেন যুবক।  তবে  তিনি জানান, নাকি খাট থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় পায়ুদ্বার দিয়ে  টর্চ ঢুকে যায় ! 
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিজ্ঞানে এরকম হওয়া অসম্ভব। যুবক কিছু একটা গোপন করতে চাইছে বলে মনে করছে চিকিৎসকরা।