কলকাতা: পরিবহন ক্ষেত্রে তীব্র সঙ্কট। গত সাত-আট বছরে কলকাতা ও শহরতলিতে বন্ধ হয়ে গেছে একশোর বেশি সরকারি বাসের রুট(Bus Problem)। রাস্তায় হু হু করে কমেছে বাসের সংখ্য়া। এই সমস্য়া শেষ অবধি কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেই আশঙ্কায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। 


বন্ধ বাসের রুট: দিন দিন বাড়ছে যাত্রী সংখ্য়া। অথচ, কমছে সরকারি বাস। উধাও হয়ে যাচ্ছে আস্ত রুটই। তা-ও আবার একটা-দু'টো রুট নয়। পরিবহন দফতরের তথ্যই বলছে, গত ৭-৮ বছরে শহর ও শহরতলিতে ১০০টির বেশি সরকারি বাস রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বছরখানেক আগে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ৫০০টি সরকারি বাস চলত। এখন সেই সংখ্য়াটা কমে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৭০০-তে।

বেশ কিছু সরকারি বিদ্যুৎ চালিত বাস ইতিমধ্য়ে রাস্তায় নামানো হয়েছে। তবে যাত্রীদের দাবি, তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। পরিবহণ মন্ত্রী দাবি করেছেন, শীঘ্রই বিএস-৬ বাস নামবে কলকাতার রাস্তায়। তবে এর মধ্য়ে আবার, নিয়ম অনুযায়ী, ১৫ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রায় দেড় হাজার বেসরকারি বাস বাতিলের খাতায় নাম লেখাবে শীঘ্রই। ফলে এই সঙ্কট এবং যাত্রীদের ভোগান্তি, শেষ অবধি কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।


এদিকে একের পর এক বাস দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি কমিশন প্রথা তোলার প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য় সরকার। কিনতু, এই প্রস্তাব কার্যকর করা কার্যত অসম্ভব বলেই মত বাস সংগঠনগুলির। সোমবার তারা নিজেদের মধ্য়ে বৈঠকে বসে। সংগঠনগুলির বক্তব্য়, কমিশন প্রথার কোনও বিকল্প ব্য়বস্থার কথা এখনও জানানো হয়নি। মঙ্গলবার পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বাস সংগঠনগুলির বৈঠক রয়েছে। সেখানে এবিষয়ে স্পষ্ট দিশা মিলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগনার বাস রুটগুলিতে বাস-মিনিবাসে কমিশন প্রথা চালু রয়েছে।  সারা দিনে যা টিকিট বিক্রি হয় তার ১২ শতাংশ কমিশন হিসেবে পান চালক। ৬ শতাংশ করে পান কন্ডাক্টর এবং হেল্পার। অর্থাৎ, যত টিকিট বিক্রি তত কমিশন। বেশি কমিশনের জন্য প্রয়োজন বেশি যাত্রী তোলা। আর বেশি যাত্রী তোলার জন্যই শুরু হয় বাসে বাসে রেষারেষি, ঘটে দুর্ঘটনা, মৃত্যু। এভাবেই বেপরোয়া বাসের রেষারেষিকে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ে মানুষের নিরাপত্তা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।    


আরও পড়ুন: Kolkata News: সিনিয়র চিকিৎসকদের ডেপুটেশন ঘিরে ধুন্ধুমার, স্বাস্থ্যভবন চত্বরে জারি ১৬৩ ধারা