ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ঝাড়খণ্ডের (jharkhand) বিধায়কের (MLA) গাড়ি থেকে টাকা (money) উদ্ধারের তদন্তে অসমের (assam) ব্যবসায়ীকে (businessman) তলব (summon) করল সিআইডি (CID)। আজ বিকেল চারটে নাগাদ অশোক ধানুকা নামে ওই ব্যবসায়ীকে ভবানী ভবনে (Bhawani Bhawan) ডেকে পাঠানো হয়েছে। সিআইডি সূত্রে খবর, গোটা ঘটনায় সরাসরি যোগ থাকতে পারে তাঁর। বিষয়টি নিয়ে তাই সরাসরি ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিআইডি আধিকারিকরা।
কী ঘটেছে?
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অশোক ধানুকাকে আগেও তাঁর গুয়াহাটির বাড়িতে তলবের নোটিস দিতে গিয়েছিল সিআইডি। কিন্তু সূত্রের খবর, সে বার তাতে বাধা দেয় গুয়াহাটি পুলিশ। ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘিরে রাখা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে খবর, নোটিস পাঠালেও প্রথম বার হাজিরা দেননি অশোক। পরে আবার তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়। আজ বিকেল ৪টে নাগাদ সিআইডির সদর দফতর ভবানী ভবনে তাঁকে আসতে বলা হয়েছে। তবে তিনি এবারও আসবেন কিনা, সেটা স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীদের ধারণা, ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তার সঙ্গে সরাসরি যোগসাজশ রয়েছে অশোক ধানুকার। বিধায়কদের থেকে যে টাকা পাওয়া গিয়েছিল তা ওই ব্যবসায়ীর থেকেই কোনও ভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছেছিল কিনা এবং গোটা ঘটনায় তাঁর কী ভূমিকা রয়েছে, সে সবই জানতে চায় সিআইডি। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
প্রেক্ষাপট...
হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কের গাড়িতে বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল হালেই। পাঁচলা-রানিহাটি মোড়ে কংগ্রেস বিধায়কের বোর্ড লাগানো গাড়ি আটকাতেই ওই নোটের বান্ডিল ধরা পড়ে। প্রথমে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ককে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। টাকা গোনার জন্য আনা হয় মেশিন। ওই ৩ কংগ্রেস বিধায়ক হলেন রাজেশ কচ্ছপ, নমন বিক্সল কোঙারি এবং ইরফান আনসারি। রাজেশ কচ্ছপ ঝাড়খণ্ডের খিজরি, নমন বিক্সল কোঙারি কোলেবিড়ার বিধায়ক। গাড়িতে লাগানো জামতাড়ার কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারির নামে বোর্ড। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? উৎস জানতে তদন্তে নামে রাজ্যের গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি, নগদ অর্থের কোনও নথি দেখাতে পারেননি অভিযুক্তরা বলে দাবি পুলিশের। তদন্তে এরপরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। সিআইডি-র দাবি, ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন গুয়াহাটির ব্যবসায়ী অশোক ধানুকা। এরপরেই অসমে রওনা হন রাজ্যের তদন্তকারী গোয়েন্দারা। কিন্তু গুয়াহাটির ওই ব্যবসায়ীকে প্রথম নোটিস ধরাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় সিআইডি অফিসারদের। তাই দ্বিতীয় নোটিস।
এবার কি আসবেন তিনি? অপেক্ষা বিকেলের।
আরও পড়ুন:' আমাদের চোর বলে উত্যক্ত করলে এলাকাছাড়া হতে হবে ' ফের হুমকি সৌগতর মুখে