অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: ৪৮ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ফের বাঘের দর্শন ! বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে (Buxa Tiger Reserve) আবারও নতুন একটি বাঘের ছবি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর। যদিও তারিখ বা সময় তাঁরা জানাননি।
তবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম বিভাগের পানা রেঞ্জ এলাকায় দেখা যায় বলে জানানো হয়। এবং এটা একটা প্রাপ্ত বয়স্ক বাঘ বলে দাবি করেছেন তাঁরা। একাধিকবার এই ছবি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে উঠে আসায়, তা যে বাঘের বাসস্থানের যোগ্য বলেই প্রমাণ করে, দাবি বক্সার বনাধিকারিকদের। উল্লেখ্য, এর পূর্বে ২০২১ সালের ১১-ই ডিসেম্বর পাওয়া যায় ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি। প্রায় ২৩ বছর পর সরাসরি বাঘের উপস্থিতির ছবি ছিল সেটা। তারপর প্রায় ২ বছরের মাথায় আবার নতুন একটা বাঘের ছবি ধরা পড়ায় স্বস্তির হাওয়া বক্সার বনকর্তাদের।
সম্প্রতি বন দফতর (WB Forest Department) খাঁচা পাতলেও,পাথরপ্রতিমায় ধরা দেয়নি রয়্যাল বেঙ্গল (Royal Bengal Tiger)। উপেন্দ্র নগর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘ। মুহুর্মুহু গর্জন শুনে আর ঠাকুরাইন নদীর ধারে, চাষের খেতে তার পায়ের ছাপ দেখে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের।নদীর ধারে চাষের জমিতে বাঘের পায়ের ছাপ। গর্জনও শোনা যাচ্ছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। আর এই আতঙ্কেই রাতের ঘুম উড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর পঞ্চায়েতের উপেন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দাদের।গত একমাস ধরে গ্রামবাসীদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে বাঘের আতঙ্ক। চাষবাস, নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরাও বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। টায়ার, মশাল জ্বালিয়ে চলছে রাত-পাহারা।
একদিকে যখন বাঘের আতঙ্কে কাবু পাথরপ্রতিমার বাসিন্দারা, তক অন্য ছবি কোচবিহারে। সম্প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে নতুন তিন অতিথি আনা হয়েছে কোচবিহারের রসিক বিল মিনি জু-তে (Mini Zoo In Cooch Behar)। ঝাড়গ্রাম মিনিজু থেকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এর রসিকবিল মিনি জুতে নিয়ে আসা হয় তিন চিতা বাঘ সোহেল সুলতান ও শাহজাদাকে। এর মধ্যে সোহেল বয়স্ক চিতাবাঘ, অন্য দুটি চিতা বাঘ ছোট। তারা সোহেলের সন্তান।
আরও পড়ুন, কাঁধে পুরনো আঘাত, ছোট অস্ত্রোপচার মুখ্যমন্ত্রীর
ইতিমধ্যেই কোচবিহারের রসিকবিল মিনি জুতে রয়েছে রিমঝিম ও গরীমা নামে দুটি স্ত্রী চিতা বাঘ। তাদের সাথে যোগ হল আরও তিনজন নতুন পুরুষ অতিথি। ওদের আসার পর বর্তমানে এই তিন অতিথি নাইট সেলটারে ডাক্তারবাবুদের পর্যপক্ষণে রয়েছে, সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই, রিমঝিম ও গরিমার সঙ্গে তাঁদের রেখে দেওয়া হবে একই জায়গায়। তখন মিনি জুতে আসা পর্যটকরা দেখতে পারবেন নতুন তিন অতিথিকে। আপাতত তিন নতুন সদস্যকে নিয়ে ব্যস্ত বন দফতরের কর্মীরা।