কলকাতা : অবশেষে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিলে সই করলেন রাজ্যপাল ( Governor C V Ananda Bose ) । সোমবার একদিনের বিশেষ অধিবেশনে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিল ( Salary Bill )  বিধানসভায় উপস্থাপিত করেও পাস করাতে পারেনি রাজ্য সরকার। কারণ রাজ্যপালের সই ছাড়াই অর্থ বিল বিধানসভায় উপস্থিত করলেও পাস করাতে পারেনি সরকার।                      


তবে এখন এই বিল নিয়ে আলোচনায় আর কোনও বাধা রইল না।  বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশন শুরু হবে  ৪ ডিসেম্বর। রাজ্যপাল  দুটি বিলে স্বাক্ষর করে দেওয়ায়, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। রাজ্যপাল সই করে দেওয়ার ফলে বিল নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। 


নিয়ম অনুয়ায়ী অন্য কোনও ধরনের বিলের ক্ষেত্রে তেমন প্রয়োজন না হলেও  অর্থ বিল পেশের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। আর রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়াই বেআইনি ভাবে বিল আনায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।  

সোমবার রাজ্য়পাল সই না করা সত্ত্বেও, বিল আনার প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার বিধানসভায় একদিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। যা চলে পাঁচ মিনিট। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় বেতন সংক্রান্ত সংশোধনী বিলটি উপস্থাপিত করেন। এরপরই এক প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্য়ুর কারণে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার।  

 রাজ্য়পাল যে বিলে সই করেননি, তা কীভাবে বিধানসভায় আনা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। এদিন অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী সেই প্রশ্ন তোলেন। ততক্ষণে স্পিকার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। 


আরও পড়ুন, 'যে কন্ট্রোল করবে, সেই তো কন্ট্রোলের বাইরে' শ্রীভূমির পুজো নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ


শুভেন্দু এদিন বলেন , 'বিজেপির বিধায়করা ২ মাসের ভাতা বৃদ্ধি, বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আগ্রহী নয়। তারা আগ্রহী। তৃণমূল মানে চোর। তৃণমূল মানে, একমাত্র অ্যাজেন্ডা টাকা তোলা, টাকা আদায় করা। এখন অবৈধ টাকাতে ED, CBI, ইনকাম ট্য়াক্স কিছুটা আটকে দিয়েছে। তাই বৈধভাবে ট্য়াক্সের টাকা নিয়ে যাবে এখান থেকে। বেআইনি হাউস এটা করেছে। ইন্ট্রোডাকশন হয় না। এই বিল প্লেস করা যায় না, রাজ্য়পাল মহোদয়ের সম্মতি নেই। পুরোপুরি বেআইনি এবং এটা হয়েছে স্পিকারের বুদ্ধিতে নয়, BA কমিটির বুদ্ধিতে নয়, মমতা ব্য়ানার্জির উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত।'