কলকাতা: দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। তার আগে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে সমস্ত যুযুধান রাজনৈতিক দল। আর এই আবহেই ভোটের হাওয়া বুঝতে সমীক্ষা চালাল আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন সংস্থা C-Voter। কোন দিকে ঝুঁকে রয়েছে জলপাইগুড়ির পাল্লা (Jalpaiguri) ? কী তথ্য উঠে এল জনমত সমীক্ষায় ?


জেলা পরিষদে (Zilla Parishad) জলপাইগুড়ির মোট আসন ২৪টি। সেখানে তৃণমূল পেতে পারে ১০ থেকে ১৪টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ৯ থেকে ১৩টি আসন। কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ০-২টি আসন। তেমনটাই ইঙ্গিত C Voter-র জনমত সমীক্ষায়।


২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে  জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ছিল ১৯টি। তার মধ্যে ১৯টিতেই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি, বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস, কেউই জেলা পরিষদে কোনও আসন জিততে পারেনি। এবার কি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে হানা দেবেন বিরোধীরা?


রাজ্য়ের সবকটি জেলা পরিষদের সব কটি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জুনের মধ্য়ে। এই সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ।  কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা, কোনওটাই শেষ কথা নয়। গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে। সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।


আরও পড়ুন: ABP Exclusive: বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু হবে কবে? কীভাবে-কোথায় কেনা যাবে?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial