সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : মন্ত্রী পরেশ-কন্যা ( West Bengal Min Paresh Adhikari ) অঙ্কিতার শূন্য পদে চাকরি দিতে হবে মামলাকারী ববিতাকে। ৩০ জুনের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে পর্ষদকে নির্দেশ হাইকোর্টের ( Calcutta High Court । ‘অঙ্কিতা (Ankita Adhikari ) যেদিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন সেইদিন থেকে প্রাপ্য সব সুবিধা দিতে হবে ববিতাকে’, নির্দেশ আদালতের। বিচারপতি আরও বলেন, ‘মামলাকারী ববিতা সরকারকে ২৭ জুনের মধ্যে সুপারিশপত্র দিতে হবে পর্ষদকে’।
কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? (Abhijit Gangopadhyay )
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ‘অঙ্কিতা যেদিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন সেইদিন থেকে প্রাপ্য সব সুবিধা দিতে হবে ববিতাকে’। সেইসঙ্গে বিচারপতির নির্দেশে, অঙ্কিতার জমা দেওয়া ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ১০ দিনের মধ্যে পাবেন ববিতা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া ভাষায় বলেন, ‘নির্লজ্জতার সঙ্গে বেআইনি পদক্ষেপ করে অঙ্কিতাকে নিযুক্ত করা হয়েছিল’।
প্রেক্ষাপট
অভিযোগ ওঠে, ২০১৮ সালে পরেশ অধিকারী ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই তাঁর মেয়ের সরকারি স্কুলে চাকরি হয়ে যায়। কোচবিহারের ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি পান মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, মামলা করেন ববিতা সরকার নামে এই চাকরিপ্রার্থী। তিনি অভিযোগ করেন, প্রথম মেধাতালিকায় পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নামই ছিল না। কিন্তু, নতুন মেধাতালিকায় তাঁর নাম এক নম্বরে চলে আসে। এর ফলে ববিতা সরকারের থেকে কম নম্বর পেয়েও, তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা চাকরি পেয়ে যান বলে অভিযোগ। তালিকায় ২০ নম্বরে নাম ছিল ববিতার। অঙ্কিতা ঢুকে পড়ার পর যখন নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে ২১ নম্বরে চলে যান ববিতা। এই মামলায়, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতাকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে চাকরির শুরু থেকে পাওয়া ৪১ মাসের বেতন ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তা ফেরতও দেন তিনি।