কলকাতা: হলদিয়া বন্দরে (Haldia Port) তোলাবাজির অভিযোগ, সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ। ১ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে নথি দিতে পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বন্দরের ট্রাক থেকে তোলাবাজির অভিযোগে ১জন গ্রেফতার। বন্দরে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হন রাজীব পাল। তোলাবাজির অভিযোগে ধৃত রাজীব পালকে জামিনে মুক্ত করার নির্দেশ।


মূল অভিযোগ ছিল বন্দর থেকে সামগ্রী নিয়ে এরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে ট্রাক যায়। প্রতি ট্রাক থেকে ৫০০ টাকা থেকে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় আগেই রাজীব পাল, শ্যামল আদক সহ বেশ কয়েকজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর অন্যতম অভিযুক্ত রাজীব পাল কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তার মামলার ভিত্তিতেই আজ কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশকে বলা হয়েছে তাদের কাছে যেসব তথ্য এবং নথি রয়েছে তা সিবিআইকে হস্তান্তর করতে হবে। তার ভিত্তিতেই সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করবে। রাজীব পালকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


এদিকে শতাধিক পুরসভায় ভোটের আর এক সপ্তাহও বাকি নেই।তবে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পুরসভায় এখনই ভোট না হলেও, এই পোস্টার ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। পাঁশকুড়া নাগরিকবৃন্দের নামে দেওয়া পোস্টারে, তৃণমূল পরিচালিত পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।


পাঁশকুড়া বাজারের কাছে রয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র অফিস। এর পাশে রয়েছে একটি ফাঁকা জমি।পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র, ভাইস চেয়ারম্যান সইদুল ইসলাম খান ও কাউন্সিলর শেখ সমিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে পূর্ত দফতরের ওই জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে পোস্টারে। দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান। যে জায়গা বিক্রির অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক, সেখানে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে, বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। যদিও ভাইস চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তাহলে জমি দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার দিল কারা? একে অন্যের দিকে আঙুল তুলছে তৃণমূল-বিজেপি।


আরও পড়ুন: Mamata on Deucha Pachami Coal Block: ‘গরিবের পেটের ভাত মেরে কাজ করি না আমি’, হোমগার্ড, কনস্টেবল পদে ৫২০০, বললেন মমতা