সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন, কাঁকুড়গাছিতে খুন হন বিজেপি (BJP) কর্মী অভিজিৎ সরকার (Post Poll Violence Allegation)। তাঁর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে রাজ্যকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দু’মাসের মধ্যে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার আলাদা আলাদা তদন্ত


ভোটের ফল ঘোষণার পর, যে খুন এবং ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগগুলো উঠেছিল, হাইকোর্টের নির্দেশে তার তদন্ত করছে CBI। কম গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্ত করছে SIT। বুধবার, সেই মামলাগুলির রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করে CBI এবং SIT। আদালতে রাজ্য সরকারের SIT-এর তরফে জানানো হয়, ৩৫টি মামলা তারা CBI-এর কাছ থেকে পেয়েছে। চার্জশিট পেশ হয়েছে ৩১টি মামলায়। ১টির ক্ষেত্রে ক্লোজার রিপোর্ট পেশ হয়েছে। 


আদালতে CBI জানায়, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় তারা ৫৮টি FIR দায়ের করেছে। তার মধ্যে, ২৬টি মামলার ক্ষেত্রে পেশ করা হয়েছে চার্জশিট। ২০টি মামলার এখনও তদন্ত চলছে। ২৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২২৪ জনকে। 


আরও পড়ুন: SBI Jobs : স্টেট ব্যাঙ্কে সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরি, এঁরা করতে পারবেন আবেদন


গত বছর ২ মে, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন, কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই মামলার  তদন্ত করছে CBI। তাতেই বুধবার কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করে দেখতে বলে আদালত। আগামী দু'মাসের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


পাশাপাশি, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট প্রকল্প চালু করা যায় কিনা, সে বিষয়েও সিদ্ধান্তের কথা জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের  ঘরছাড়াদের ফেরাতে এদিন বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কমিটিতে থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের একজন প্রতিনিধি।


ঘরছাড়াদের ফেরানোর জন্য কমিশন গড়ার নির্দেশ


এ ছাড়াও কমিটিতে থাকবেন স্টেট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির সচিব। আদালতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তরফে বলা হয়, আদালত নির্দেশ দিলে কাজ করতে কোন অসুবিধা নেই।
তবে, নিরাপত্তা এবং অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও, কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ কমিটি করার মত আইনি সংস্থান নেই। তাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে বলা হয়, এর আগেও আদালতের তৈরি করা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ অনুসন্ধানকারী দলে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ছিলেন। এখন তারা কেন বলছেন কেন্দ্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার আইনি সংস্থান নেই?দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জানায়, রাজ্য ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একসঙ্গে কাজ করতে কোনও অসুবিধা নেই।