সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ফরেনসিক বিভাগের (Forensic Recruitment) ১৭ শূন্য পদে নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব (West Bengal Government)। পুজোর আগে নিয়োগ শুরুর নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।


আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার


প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি থেকে SLST, এমনকি SSC’র গ্রুপ C থেকে গ্রুপ D, কোথাও যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চনা, কোথাও দুর্নীতির অভিযোগে আটকে রাজ্যের হাজার হাজার শূন্যপদে নিয়োগ। একের পর এক মামলার তদন্ত করছে CBI থেকে ইডি। আদালতে এ নিয়ে বার বার ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন। 


এ বার রাজ্য ফরেন্সিক বিভাগে ১৭টি শূন্যপদে এখনও কেন নিয়োগ হয়নি, সেই প্রশ্নের মুখে পড়লেন স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা। পুজোর আগেই ১০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee : অভিষেকের অফিসের সামনে থালা বাজিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ


মাদক সংক্রান্ত একটি মামলায় মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকাকে আদালতে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মতো মঙ্গলবার আদালতে হাজির ছিলেন তিনি। মাদক-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই ওঠে ফরেন্সিক বিভাগে ১৭টি শূন্যপদে নিয়োগ না হওয়ার প্রসঙ্গ। 


স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিচারপতি বাগচী প্রশ্ন করেন, "ফরেন্সিক বিভাগে ১৭টি শূন্যপদে কেন নিয়োগ করা হয়নি'? বিচারপতি বলেন, "আর দেরি নয়। পুজোর আগে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।" নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে বলেও  জানিয়ে দেন তিনি। 


৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি!


পাশাপাশি মঙ্গলবারই নিয়োগ নিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিবকে আলোচনা করে, দুপুর দুটোর মধ্যে আলোচনার নির্যাস আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর পর দুপুর দুটোর পর স্বরাষ্ট্রসচিব আদালতে জানান, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে PSC। আবেদন গ্রহণের শেষ দিন রাখা হবে ১১ নভেম্বর। 


একথা শুনে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে, আদালতকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। 


এ দিকে,


প্রাথমিক TET’এ ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলায় আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে ৪ দফায় আরও ১৮৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৪’র TET’এর ভিত্তিতে ২০১৬ ও ২০২০ সালে দু’বার নিয়োগ হয়।  মামলাকারীর দাবি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ভুল প্রশ্নে তাঁদের ৬ নম্বর দেওয়া হয়নি। এর পর, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, ৬টি ভুল প্রশ্নের নম্বর জুড়ে এঁরা সকলেই TET উত্তীর্ণ। এই মামলায়, বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়২২ জন TET উত্তীর্ণকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন।