নদিয়া: কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CID-কে স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ১৬ অগাস্টের মধ্যে পেশ করতে হবে স্টেটাস রিপোর্ট। কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।


SSC-র ধাঁচে কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি (Illegal) নিয়োগের অভিযোগে বিজেপির দুই সাংসদ, দুই বিধায়ক-সহ ৮ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। সিআইডিকে নথি হস্তান্তর করে কল্যাণী থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ ৮ জনের।


কী অভিযোগ ?


তাঁদের অভিযোগ, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের সুপারিশে কল্যাণী এইমসে চাকরি পেয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে। প্রতিবাদে আজ বিধায়কের দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি চাই বলে স্লোগান তোলেন তাঁরা।


এপ্রসঙ্গে আইএনটিটিইউসি-র বাঁকুড়া শহর সভাপতি শ্যামসুন্দর দত্ত বলেন, সাধারণ মানুষ কাজ চাইছে। এমএলএ-এমপি কী কাজ দিয়েছেন আমাদের ? ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন এঁরা। এঁরা শ্রমিক বিরোধী আইন আনছে। যোগ্যতা ছাড়া নিজের ঘরের মেয়েকে কাজ দেয় কী করে !. এটা নিয়ে আমরা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। শুনেছি, এটা নিয়ে এমপি-এমএলএ-দের বিরুদ্ধে এফআইআরও হয়েছে। 


যদিও এনিয়ে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, এটা কোনও সরকারি চাকরি নয়। এটা কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি চাকরি নয়। রাজ্য সরকারের চাকরিও নয়। আর এরকম চাকরি যদি আমাদের সৌভাগ্য হয় তৃণমূলের যাঁরা আজ বিক্ষোভ দেখাল তাঁদের ঘরে ঘরে চাকরি দেব আমি। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-দাদাদের অঙ্গুলিহেলনে বাঁকুড়া মেডিক্যালে যেমন ঘরে ঘরে চাকরি পাচ্ছেন, সেখানে বিজেপির একটা ছেলেও নেই। বিজেপি করার জন্য তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। আর সেই ঠিকাদারি সংস্থার তৃণমূলের ছেলেরা শয়ে শয়ে চাকরি পাচ্ছেন। তাঁদের যোগ্যতা বলে হয়তো পাচ্ছে!


বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের দাবি: এইমসে ঠিকাদারের মাধ্যমে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ হয়েছে। রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরেও এভাবেই নিয়োগ হয়। এর সঙ্গে আমার পুত্রবধূ আবেদন করে চাকরি পেয়েছে। আমার এর সঙ্গে কোনও যোগ নেই।


কোথাও যদি একটিও বেআইনি কাজ করে, কাউকে বঞ্চিত করে বা টাকার বিনিময়ে কিছু করে থাকি, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। যদি প্রমাণ কেউ করতে পারে। শুধু দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য তৃণমূল এটা করছে। প্রতিক্রিয়া জগন্নাথ সরকারের।


নতুন পদ নিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও নিয়োগ হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন তুললেন শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে কালীঘাট থানায় (Kalighat Police Station) দেওয়া হল স্মারকলিপি।