নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে আন্দোলনে নামল কংগ্রেস (Congress)। আজ, শুক্রবার দেশজুড়ে বিক্ষোভে সামিল হাত-শিবির। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও ও রাষ্ট্রপতি ভবন চলো কর্মসূচি পালনের ডাক কংগ্রেসের। ২৪ নম্বর আকবর রোডে দলের সদর দফতর থেকে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর নেতৃত্বে মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে রওনা দেবেন কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা।


কী ইস্যুতে আন্দোলন?
মূল্যবৃদ্ধি থেকে বেকারত্ব এমন একাধিক ইস্যুতে বারবার বিজেপির দিকে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর জিএসটি বৃদ্ধি নিয়েও কংগ্রেস নিশানা করেছে বিজেপিকে। এবার সেই ইস্যুগুলি নিয়েই আন্দোলনে ঝাঁপাচ্ছে হাত-শিবির। শুক্রবার সকাল থেকেই দলের সদর দফতরের সামনে জমায়েত করেছেন নেতা-কর্মীরা। সাড়ে নটা নাগাদ ওই অফিসে পৌঁছন রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)।


কড়া পুলিশ:
কংগ্রেসের বিক্ষোভ আটকাতে তৎপর দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। গোটা আকবর রোড মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। একই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি ভবন চলো অভিযানে অংশ নেবেন কংগ্রেসের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। অন্যদিকে, যন্তরমন্তর বাদে নয়া দিল্লিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিকের কারণে কোনওরকম বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।


ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস-বিজেপি চাপানউতোর চলছে। গতকালই লোকসভা ও রাজ্যসভা মুলতুবি হয়েছে হট্টগোলের কারণে। বিরোধীদের রুখতে ইডিকে ব্যবহার করার অভিযোগ নিয়ে প্রবল তোপ দেগেছিল কংগ্রেস। তার পর এদিন দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গাঁধী বলেন, 'দেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। জনগণের ইস্যু তুলতে দেওয়া হচ্ছে না। সামান্য কয়েকজনের স্বার্থ দেখার জন্য এই সরকার চালানো হচ্ছে। দেশজুড়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম হয়েছে।' সমাজের সবস্তর থেকে প্রতিবাদ করার আবেদন কংগ্রেস নেতা অশোক গহৌলতের।  


আরও পড়ুন:  লাগবে না টিকিট, স্বাধীনতা দিবসের আগে কী ঘোষণা করল কেন্দ্র?