সৌভিক মজুমদার ও ঊজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা: বিজেপির (BJP) পর এবার ISF-কেও ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের (Victoria House) সামনে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সমর্থক কমিয়ে, পুলিশ বাড়িয়ে ওখানেই সভা হোক, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে আইএসএফের সভার অনুমতি প্রসঙ্গে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। পাশাপাশি, গত বছর ISF-এর প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, কেন অশান্তি হয়েছিল, বৃহস্পতিবারের মধ্য়ে তার ব্য়াখ্য়া চেয়েছে হাইকোর্ট। 


অন্য দল সভা করতে পারলে ISF কেন নয়? ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে, ISF-এর সমাবেশে পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় এমনই মন্তব্য় করল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, সমর্থক কমিয়ে, পুলিশ বাড়িয়ে ওখানেই সভা হোক। আগামী ২১শে জানুয়ারি ISF-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। সেদিন, ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা কর্মসূচি করতে চায় তারা। 


কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না। ওই স্থানে সভা করতে চেয়ে মঙ্গলবারই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ISF. বুধবার সেই মামলার শুনানিতেই উঠে এল, গত বছর, প্রতিষ্ঠা দিবসে, ধর্মতলায় ISF-এর কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির প্রসঙ্গ। 


গত বছরের ২১শে জানুয়ারি, ISF-তৃণমূলের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে, বিকেলে, রানি রাসমণি রোডে সভা করেন নৌশাদ সিদ্দিকি। ISF বিধায়কের নেতৃত্বে ধর্মতলায় রাস্তা অবরোধ করেন কর্মী-সমর্থকরা। অফিস টাইমে অবরোধ হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নৌশাদ সিদ্দিকিকে টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। 


পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি এবং লাঠি নিয়ে তাড়া করেন আইএসফের কর্মী-সমর্থকরা। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। ৪২ দিন জেলে থাকতে হয় তাঁকে। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, তৃণমূল বা অন্য দল সভা করলে তাদের বিরুদ্ধে গন্ডগোলের অভিযোগ ওঠে না। কেউ উস্কানি দিতে পারে, কিন্তু নিজের সমর্থকদের আটকানো কার কাজ? 


রাজ্য় সরকারের আইনজীবী সওয়াল করেন, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে সভা সরিয়ে অন্যত্র করা হোক। তখন বিচারপতি বলেন, ওই জায়গায় সভা করতে বারণ করছে না আদালত।  কিন্তু স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করুক ISF. সমর্থক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করুক দল। গত বছর প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, কেন ঘটেছিল, বৃহস্পতিবারের মধ্য়ে তার ব্য়াখ্য়ায় চেয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি।