কলকাতা : ফের আদালতে ধাক্কা রাজ্যের। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে চিকিৎসকদের 'দ্রোহের' কার্নিভালে অনুমতি দিল আদালত। দ্রোহ রুখতে গড়া হয়েছিল দুর্গ । লোহার মোটা শিকল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল পথ। আদালতের রায়ে, এক ঘণ্টাতেই নাটকীয় পট পরিবর্তন ঘটে যায়।
এরপরই মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায় শহরের ছবিটা। লোহার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয় পথ। সরে যায় ব্যারিকেড। হাতের হাত রেখে তৈরি হয় মানব-শৃঙ্খল। পিছু হঠতে বাধ্য হয় পুলিশ। ঢাক বাজিয়ে, প্ল্যাকার্ড হাতে, প্রতিবাদের রব তুলে নজিরবিহীন আন্দোলনে সামিল হলেন চিকিৎসকরা ও হাজার হাজার মানুষ ।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সারা শহর হয়ে ওঠে দুর্গ। দিকে দিকে গার্ডরেল দিয়ে ঘরে ফেলে পুলিশ। কোনওভাবেই যাতে দ্রোহের কার্নিভাল না হতে পারে, তার জন্য কোমর বাঁধে পুলিশ। বিশাল বিশাল অ্যালুমিনিয়াম ওয়াল তুলে দেওয়া হয় রাস্তায়। এছাড়া রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় সারি সারি বাস। এই পরিস্থিতিতে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স দ্বারস্থ হয় আদালতের। সেখানেই ফের বড়স় ধাক্কা খায় রাজ্য ।
জয়েন্ট ফোরাম অফ ডক্টর্সকে অনুমতি দেন বিচারপতি রবি কৃষাণ কপূর। আদালত আরও জানায় , 'রাসমণি রোডের যে প্রান্ত রেড রোডের দিকে এসে মেশে সেদিকে গার্ড রেল দিয়ে আটকাতে পারবে পুলিশ'। রেড রোডেই হচ্ছে রাজ্য আয়োজিত পুজোর বিসর্জনের কার্নিভাল।
সোমবার রাতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে সামনে রেখে ধর্মতলা, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ সংলগ্ন এলাকায় জারি করা হয়েছিল ১৬৩ ধারা। লেনিন সরণির সংযোগস্থল থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল, ডোরিনা ক্রসিং, মেয়ো রোড, আউট্রাম রোড, ক্যাথিড্রাল রোড, জহরলাল নেহরু রোড, ক্যুইন্স ওয়ে, স্ট্র্যান্ড রোড-সহ একাধিক রাস্তায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা পুলিশ। আইন অনুসারে ১৬৩ ধারা জারি থাকলে কোথাও ৫ জন বা তার বেশি জমায়েত করা যায় না। তাই দ্রোহের কার্নিভাল পড়ে যায় বাধার মুখে। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে সব বাধা কেটে যায়। আর শুরু হয় দ্রোহের কার্নিভাল।
আরও পড়ুন:
আজ কলকাতায় জোড়া কার্নিভাল, ধর্মতলায় মানব বন্ধন জুনিয়র চিকিৎসকদের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।