সৌভিক মজুমদার কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে (Teacher Recruitment) নতুন পদ তৈরি নিয়েও এবার প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট (Calcutta High court)। দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) চাকরিপ্রার্থীর মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যাঁরা চাকরি না পেয়ে অসন্তুষ্ট তাঁদের জন্য অতিরিক্ত পদ তৈরি হয়েছে। এই প্রক্রিয়া আসলে একটি অসুখ ঢাকতে আরেকটি অসুখ ডেকে আনা। ‘এক্ষেত্রে নিয়োগে নতুন করে দুর্নীতি হবে না সেই প্রতিশ্রুতি কে দেবেন?’


মেধাতালিকা: ‘মেধাতালিকায় (Merit List) ২০০ তম স্থানে ছিলেন অনুপ গুপ্ত। মেধাতালিকায় ২৭৫ নম্বর স্থানে থেকেও চাকরি পেয়েছেন সিদ্দিক গাজি।’ এই অভিযোগ তুলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দক্ষিণ দিনাজপুরের চাকরি প্রার্থী অনুপ গুপ্তর।  চাকরি প্রার্থী অনুপ গুপ্তর মামলার নথি সিবিআইকে পাঠাতে নির্দেশ দিয়ে আলাদত জানিয়েছে, ‘নথি দেখে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে সিবিআই।’ দক্ষিণ দিনাজপুরের চাকরিপ্রার্থী অনুপ গুপ্তর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ  দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।


৬ই জুন সিদ্দিক গাজির চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন ‘ডেটা রুম সিআরপিএফের দখলে থাকলেও ভুয়ো নিয়োগ বাতিলে কমিশনের অসুবিধা কোথায়?’ ‘চাকরি বাতিলের নির্দেশিকা আগেই জারি হলেও কেন আদালত ও মামলাকারীদের জানানো হয়নি?’ সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগের পুরনো জট কাটানোর উদ্যোগের পাশাপাশি, নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।


গত বছর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা অনুপ গুপ্ত। তিনি অভিযোগে বলেন, মেধা তালিকায় ২০০ নম্বরে থাকলেও, তিনি চাকরি পাননি। কিন্তু, মেধা তালিকায় ২৭৫ নম্বরে থাকা সিদ্দিক গাজি চাকরি পেয়েছেন। এই মামলায়, গত সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থাসিদ্দিক গাজি নামে ওই ‍শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। এদিন আদালতে রাজ্য সরকার জানায়, অন্য একটি মামলায় এ’বছরের ১৭ই মার্চ সিদ্দিক গাজীর চাকরি বাতিল করেছে কমিশন।


তখন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, কমিশনের ডেটা রুম CRPF’এর দখলে থাকলে ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করতে কমিশনের  অসুবিধা কোথায়? চাকরি বাতিলের নির্দেশিকা আগে জারি করা হলেও, কেন তা আদালত ও মামলাকারীদের জানানো হয়নি? এর পরই চাকরিপ্রার্থী অনুপ গুপ্তর মামলার নথি CBI’কে দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, নথি দেখে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে CBI।


ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে নবম-দশমের গণিতের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে CBI। এবার এই মামলার নথি দেখে এবার CBI কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর সকলের।