কলকাতা: খাবার থেকে অক্সিজেন (Oxygen)। সবকিছুরই উৎস সমুদ্র। বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, বিশ্বে যত পরিমাণ অক্সিজেন উৎপন্ন হয় তার একটি সিংহভাগ আসে সমুদ্র (Ocean) থেকে। খাদ্য়েরও একটি বড় অংশের যোগান দেয় সমুদ্রই। স্থলভাগে যে জীবমন্ডল রয়েছে, তার থেকে ঢের বড় জীবমন্ডল রয়েছে পৃ্থিবীর জলভাগে। বিশ্বের তাপমাত্রা, খাবারের জোগান, পরিবেশের ভারসাম্য। এরকম একাধিক বিষয় নির্ভর করে সমুদ্রের উপর। শুধু তআই নয়। বিশ্ব অর্থনীতিরও (World Economy) একটি বড় অংশ সমুদ্র্রের উপর নির্ভরশীল। যতদিন যাবে সমুদ্র-নির্ভর শিল্পের উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। কিন্তু এমন বিশাল সমুদ্রও এখন ক্লান্ত। অতিরিক্ত সম্পদ (Resource) ব্যবহারের ধাক্কায়, দূষণের ধাক্কায় প্রতিনিয়ত ক্ষতি হয়ে চলেছে এই জগতের।


একটি বিশেষ দিন:
পরিবেশের জন্য, জীবজগতের স্থায়িত্বের জন্য সমুদ্র যে কতটা প্রয়োজনীয়, তা বোঝানোর জন্য সচেতনতা জরুরি। আর তার জন্য়ই একটি বিশেষ দিন ধার্য করা হয়। UNESCO-এর তরফে ৮ জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস (World Oceans Day) হিসেবে পালন করা হয়। ২০০৮ সালে ৮জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সমুদ্রকে বাঁচানোর বার্তা দিতে, দূষণ রোধ করার বার্তা দিতে একটি বিশেষ দিন পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। 


এ বছর কোন থিম?
২০২২ সালে বিশ্ব সমুদ্র দিবসের থিম, রিভাইটালাইজেশন (Revitalization)। এই বছর নিউইয়র্কে UN-এর মূল অফিসে এর অনুষ্ঠান হবে। সেটাই বিশ্বজুড়ে ব্রডকাস্ট করা হবে।


সমুদ্রে অতিরিক্ত মাছ ধরা, সমুদ্রে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, সমুদ্রের জলে তেল ছড়িয়ে যাওয়া-ইত্যাদি নানা কারণে ক্রমশ মারাত্মক ক্ষতি হয়ে চলেছে সমুদ্রজগতের। দূষণের কারণে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণেও প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্রের জীবজগত। যা শেষ পর্যন্ত প্রভাব ফেলছে মানবজীবনে। এগুলি বন্ধ করার বার্তা দিতে, সমুদ্রের স্বাস্থ্য ফেরাতেই বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে চলেছে বিশ্ব সমুদ্র দিবস।


আরও পড়ুন: এই ছবিতে কটি বাঘ দেখতে পাচ্ছেন আপনি? এতেই বোঝা যাবে কতটা মনোযোগী আপনি