সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : হাইকোর্টে চাকরির জন্য আবেদন করা প্রিয়ঙ্কা সাউয়ের নিয়োগপত্র হাতে পাওয়া নিয়ে দেরি হওয়ায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওপর তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে তলব করার পর বোর্ডের তরফে গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখার পর সেই তলব প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি।


দেরি ঘিরে উষ্মার


প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ২৮ অক্টোবরের মধ্যে যাতে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পান চাকরি চেয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া প্রিয়ঙ্কা সাউ। যে নিয়োগপত্র পৌঁছয় গতকাল। প্রিয়ঙ্কা সাউয়ের আইনজীবী যে কথা জানানোর পরই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের হাইকোর্ট ভাবে! কেন বোর্ড নিয়োগপত্র দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানায়নি আদালতে?’


যার পরই তিনি বলেন, ‘রাজ্যের একাধিক শিক্ষা সংক্রান্ত অফিসার জেলে। তারপরেও এই বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ পরীক্ষার্থী বিরোধী। ২৮ অক্টোবরের মধ্যে কেন প্রিয়ঙ্কা সাউকে নিয়োগপত্র দেয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ? বোর্ডের বহু কর্তা ছাত্রবিরোধী কাজ করছেন’।


বিচারপতির উষ্মার মুখে তাঁকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২৮ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদের পক্ষে যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছিল। কিছু সমস্যার জেরে মাঝে কয়েকটা দিন বেশি সময় লেগেছে আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা সাউয়ের হাতে নিয়োগপত্র পৌঁছতে। যে ব্যাখ্যাতে সন্তুষ্ট হয়েই প্রথমে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে তলব করলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।


সিটের প্রধানকে তলব


এদিকে, নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের সিটের প্রধানকে তলব করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামীকাল দুপুর ২টোয় সিটের প্রধানকে তলব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ‘ভুয়ো নিয়োগের প্রকৃত সংখ্যা কত?’ সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘কারা জমা দিয়েছিলেন সাদা খাতা? সেই তালিকা কি কমিশনকে দিয়েছে সিবিআই?’ জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘পরীক্ষায় ২-৩ নম্বর প্রাপ্তদের নম্বর বাড়িয়ে ৫২-৫৩ করা হয়েছে। সেই তালিকা কি সিবিআই কমিশনকে দিয়েছে?’ জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


এদিকে, আপাতত দু’দিন উচ্চপ্রাথমিকে কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগপত্রে ‘না’ ।বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপত্র প্রদানে নিষেধ হাইকোর্টের। নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 


আরও পড়ুন- ‘এমন শিক্ষক পাঠাচ্ছেন যার জন্য পড়ুয়াদের হেনস্থা হতে হচ্ছে’ কমিশনের উদ্দেশ্যে মন্তব্য বিচারপতির