সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : উচ্চপ্রাথমিকে ( Upper Primary )  কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে আপাতত দু’দিন  নিয়োগপত্রে ‘না’  । বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপত্র প্রদানে নিষেধ হাইকোর্টের। এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদের নিয়োগপত্রে দুদিনের জন্য নিষেধ বিচারপতির। কীভাবে তৈরি হয়েছে ওয়েটিং লিস্ট? জানতে চাইল আদালত


'পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত পদক্ষেপ নয়'


হাইকোর্টের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপত্র প্রদানে নিষেধ হাইকোর্টের।  জবাবে SSC র তরফে জানানো হয়, 'আজ অফিস বন্ধ, ফলে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রশ্ন নেই' । 

এরপর আদালত প্রকাশিত  ওয়েটিং লিস্টের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আদালত জানতে চাইল, কীভাবে তৈরি হয়েছে ওয়েটিং লিস্ট?  সেই সঙ্গে বিচারপতি বলেন, ‘কমিশন জানে তারা স্বচ্ছ নয়’ ! কমিশনকে ভর্ৎসনা করে আদালত বলে, ‘এমন শিক্ষক পাঠাচ্ছেন যার জন্য পড়ুয়াদের হেনস্থা হতে হচ্ছে’ । কমিশনের উদ্দেশ্যে এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।



 কবে এই পরীক্ষা হয় 
২০১৬-য় নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় পরীক্ষার।  ২০১৭-য় পরীক্ষার পর ২০১৮ সালে পার্সোনালিটি টেস্ট নেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করার পাশাপাশি, ৩ নভেম্বর কাউন্সেলিংয়ের দিন ঘোষণা করে SSC।


১০ ও ১১ নভেম্বর ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হয়। তালিকায় নাম না থাকায় এক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেন। ৭২ নম্বর পেয়ে চাকরি না পেলেও ৫৬ নম্বর পেয়ে অন্য একজনের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর থেকে অন্তত আরও ৬০ জন কম নম্বর পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ৬০ জনকে নিয়ে অবস্থান জানাবে কমিশন। মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার। 


সোমবার  এসএসসির মাধ্যমে কর্মশিক্ষা বিভাগে ৭৫০টি পদে  নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন  তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, খুব সন্দেহজনক তালিকা। প্রয়োজনে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেব! মঙ্গলবার এসএসসিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, সম্প্রতি চলতি বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার কর্মশিক্ষা বিভাগের ৭৫০টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, খুব সন্দেহজনক তালিকা। প্রয়োজনে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেব। উড়িয়ে দেব তালিকা!