সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: হাঁসখালি (Hanskhali Case) গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত। কেস ডায়েরির প্রেক্ষিতে মামলাকারীরার প্রশ্ন করেন, “এফআইআর দায়ের করতে দেরি কেন? কোনও কারণ দেখানো হয়েছে?’’ “এই ধরনের মামলায় ভিডিওগ্রাফি করে সাক্ষীদের জবানবন্দি নিতে হয়। এক্ষেত্রে সেরকম কিছু হয়নি।‘’ দাবি মামলাকারীদের।
হাঁসখালিকাণ্ডে রায়দান স্থগিত: “নির্যাতিতাকে যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানে রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছিল? নিগৃহীতা এবং অভিযুক্তদের পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল কি?’’ বেডশিট বাজেয়াপ্ত হয়েছে’, আদালতে জানিয়েছে রাজ্য। “কেস ডায়েরিতে উল্লেখ আছে?’’ প্রশ্ন বিচারপতির। গতকাল বাজেয়াপ্ত হয়েছে, উত্তর রাজ্যের। যে কথা কেস ডায়েরিতে নেই, সে কথা বলবেন না, পাল্টা জানালেন বিচারপতি।
কী ঘটেছে হাঁসখালিতে
নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেই তথ্য সামনে আসে। পাশাপাশি নাবালিকার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতোও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাঁসখালিকাণ্ডে কী বলেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেছেন, ‘ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল কিনা, দেখতে হবে। শুনেছি দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।’ পাশাপাশি ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন, ‘তৃণমূলকে টানার কী দরকার? সবাই তো তৃণমূল। ছেলেটার বাবা তৃণমূল করে তো কি হয়েছে, রং না দেখে গ্রেফতার হয়েছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, 'ঘটনাটা খারাপ, কিন্তু গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু প্রথমেই কেন থানায় রিপোর্ট করা হয়নি? না জানিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল কেন? শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে মামলাটি দেখতে বলব, তদন্তের পরে কেসটা কি ছিল, সেটা আমরা জানাব।'