কলকাতা: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির গঠন নিয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি। ইতিমধ্যে সমিতি গঠন হয়ে গিয়ে থাকলেও ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা যাবে না। এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। এর আগে আদালতে কংগ্রেস দাবি করে, বোর্ড গঠনে বাধা দিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজই রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন হওয়ার কথা। তা নিয়ে প্রবল উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।


এদিন ভোটাভুটি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ জন সদস্য, ৯ জন পঞ্চায়েত প্রধান, ৩ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ২ জন বিধায়ক ও একজন সাংসদের। উপস্থিত থাকার কথা ছিল রানিনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেন ও জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুল রাজ্জাক এবং মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানের। তৃণমূল সাংসদ বর্তমানে কলকাতায় চিকিৎসাধীন। গতকালই ২ কংগ্রেস সদস্য যোগ দিয়েছিলেনন তৃণমূলে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি থানা ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। এছাড়াও, একাধিক বাম-কংগ্রেস সদস্যের বিরুদ্ধে FIR রয়েছে। ফলে স্থায়ী সমিতিতে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল জোর করে কংগ্রেস সদস্যদের তৃণমূলে নেওয়া হয়েছে। 'প্রশাসন চাপ দিচ্ছে, বড়বাবু বলছে তৃণমূলে যোগ দিতে হবে', একটি ভিডিও রেকর্ডিংয়ে এমনটাই অভিযোগ করেন রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে। প্রশাসনের তরফে রানিনগর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী ফের তোপ দাগেন রাজ্য প্রশাসন, পুলিশ ও তৃণমূলের দিকে। পুলিশকে দিয়ে জোর করে, চাপ দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অধীর চৌধুরী।


২৭ আসনবিশিষ্ট রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে, বাম-কংগ্রেস জোট জিতেছিল ১৪টিতে। তৃণমূল জয়ী হয় ১৩টিতে। সোমবার পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন। তার আগে, রবিবার, দলবদলের জেরে তৃণমূলের পক্ষে সংখ্য়াটা বেড়ে হয়েছে ১৫। আর বাম-কংগ্রেস জোটের সংখ্যা কমে হয়েছে ১২।


এই রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির ভোটাভুটির আগে প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তারপরেও কমেনি উত্তেজনা।  শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রানিনগর, থানায় ভাঙচুর, পুলিশকে মারধর ও তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা হয়। ওই ঘটনায় বাম-কংগ্রেসের ৩৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।