কলকাতা: পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে হাইকোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বীরভূমের বাসিন্দা সোনালি বিবি-সহ ৬ জনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক সংক্রান্ত মামলায়, ৪ সপ্তাহে সোনালি বিবি-সহ ৬জনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরাতে নির্দেশ। পরিযায়ী শ্রমিকদের পুশব্যাক নিয়ে হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারের।
বাংলা বলায় বাংলাদেশি অভিযোগে সীমান্তের ওপারে পাঠানোর অভিযোগ। ৪ সপ্তাহের মধ্যে বীরভূমের ২ বাঙালি পরিবারের ৬জনকে ফেরানোর নির্দেশ। 'বাংলাদেশ থেকে বীরভূমের ৬জনকে ফিরিয়ে আনতে হবে পশ্চিমবঙ্গে', নির্দেশ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও ঋতব্রত কুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চের। বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা হাইকোর্টের।
সোনালি বিবির পরিবারের দাবি, বীরভূমের পাইকরের বাসিন্দা হলেও, কাজের সূত্রে স্বামী দানিশ শেখ এবং ছেলেকে নিয়ে দিল্লির রোহিণীর ২৬ নম্বর সেক্টরে থাকতেন সোনালি বিবি। অভিযোগ, গত ১৭ জুন তাদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ২৬ তারিখে তাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়। একইভাবে বীরভূমেরই বাসিন্দা সুইটি বিবি এবং তার দুই ছেলেকেও গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, সে দেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে তাঁদের গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। অভিযোগ ওঠে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনা বা কোনওরকম তথ্য যাচাই না করেই ৬ জনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে।
তাঁদের নাগরিকত্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে সোনালি বিবি-সহ ৬ জনকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েহাইকোর্ট জানিয়েছে, ফিরিয়ে আনার কাজ করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকেই।
এদিকে, এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, হাইকোর্ট আজকে অর্ডার দিয়ে বলেছে যে FRRO-র যে ডিপোর্টেশন, সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ। ওপেন কোর্টে বলেছে। হাইকোর্টের থাপ্পড় খেয়ে এবার ক্ষমা চাওয়া উচিত কেন্দ্রের।