সৌভিক মজুমদার, সত্যজিৎ বৈদ্য ও রুমা পাল, কলকাতা : এসএসসি (SSC Case) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা চলছে। অন্যদিকে, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন SSC’র চাকরি প্রার্থীরা। তিন দফায়, তিনশো ছিয়াশি দিন অবস্থান করছেন তাঁরা। এদিকে, SSC’র নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি হবে কোন ডিভিশন বেঞ্চে? সোমবার থেকে শুরু হওয়া সেই টানাপোড়েন মঙ্গলবারও অব্যাহত ছিল। বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি TS শিবাগনানম ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের পর মঙ্গলবার SSC মামলা থেকে সরে দাঁড়ায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চও। আদালত সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়ায় বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।


ঠিক কী অবস্থায় এসএসসসি মামলা


SSC মামলা থেকে ২ দিনে কলকাতা হাইকোর্টের ৪টি ডিভিশন বেঞ্চ সরে দাঁড়াল। SSC-র নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ, গ্রুপ C ও গ্রুপ D-তে কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। তার প্রেক্ষিতে সোমবার শুনানি ছিল বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়ায় বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। 


সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ 


এর আগে, গত ৩০ মার্চ SSC’র গ্রুপ D’তে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ৫টি মামলায় CBI অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, ৪টি নির্দেশের ওপরই স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরই সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেঁধে দেওয়া হচ্ছে কেন, এই বিস্ফোরক প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের চিঠি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


এই প্রেক্ষাপটে, সোমবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়ায় বিচারপতি TS শিবাগনানম ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চও। মঙ্গলবার SSC সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু, বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চও মামলা থেকে সরে দাঁড়ায়।


শেষ অবধি SSC মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। SSC মামলা এরপর কোনদিকে গড়ায়, সেদিকেই নজর সকলের।


আরও পড়ুন- 'টাকা কোথা থেকে কোথায় গেছে? সেটা আমি খুঁজে বার করব' SCC মামলায় মন্তব্য বিচারপতির