সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: প্রথম চার্জশিটে (Chargesheet) নাম থাকলেও, দ্বিতীয় চার্জশিটে (Chargesheet) বাদ সেই নাম। বালির তৃণমূল নেতা (TMC) তপন দত্ত হত্যা মামলায় বিস্ময়প্রকাশ করে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, এ তো ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনির মতো ঘটনা।
বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্তর হত্যা মামলায় বিস্ময়প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট! তৃণমূল নেতা খুনের প্রথম চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে যাঁর নাম ছিল।
দ্বিতীয় চার্জশিটে সেই নাম বাদ যায়। আর এনিয়েই বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, এটা ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনির মতো ঘটনা। ২০১১ সালের ৬ মে খুন হন বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত।
আরও পড়ুন: Bnakura Accident News: বাঁকুড়ায় পথ দুর্ঘটনায় ২ মহিলার মৃত্যু, আহত ৫
খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। এই হত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তপন দত্তর স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। বৃহস্পতিবার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করেন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েনের আইনজীবী।
শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, তদন্ত নিরপেক্ষ হচ্ছে না, বলে মন্তব্য করেছেন নিম্ন আদালতের বিচারক। ষষ্ঠী গায়েন অন্যায় না করলে, তাঁর আইনজীবী CBI তদন্তে আপত্তি করছেন কেন? এরপর রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, তদন্তে কোন খামতি নেই। আর এই পর্যায়ে CBI তদন্তেরও কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। তদন্ত ত্রুটিপূর্ণ হলে, আদালত আগেই CBI তদন্তের নির্দেশ দিত। বুধবার, ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
অসুস্থতার কারণে বারবার আবেদন জানিয়েও বদলি না হওয়ার অভিযোগ। হাওড়ার (Howrah News) জয়পুরের এক স্কুল শিক্ষিকাকে আগামীকালের মধ্যে বদলির বন্দোবস্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অসুস্থতার কথা জানিয়েই বদলি মেলেনি বলে অভিযোগ: অসুস্থতা নিয়েও রোজ ২৮৪ কিলোমিটার পথ যাতায়াত শিক্ষিকার। চারবার আবেদন জানিয়েও, বদলির জন্য এলওসি না দেওয়ার অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে (Teacher Transfer)। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষিকাকে বদলির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশে দেওয়া হবে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট, জানাল স্কুল কর্তৃপক্ষ। বদলি বিতর্ক হাওড়ার জয়পুরের সুরঙ্গময়ী গার্লস হাইস্কুলে। বছর চারেক আগে এই স্কুল সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন বর্ধমানের চাণ্ডুলের বাসিন্দা স্নিগ্ধা দত্ত। তাঁর দাবি, অসুস্থার কারণে, রোজ বর্ধমান থেকে হাওড়ার জয়পুর পর্যন্ত যাওয়া-আসা মিলিয়ে ২৮৪ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।