কলকাতা: গরুপাচার মামলায় বিস্তর টানাপোড়েন হয়েছে বাবাকে নিয়ে (Cattle Smuggling Case)। তার পর আসানসোল থেকে সটান তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। এ বার দিল্লির তিহাড় জেলে ঠাঁই হতে চলেছে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলেরও (Sukanya Mondal)। তিহাড় জেলে (Tihar jail) মহিলাদের কুঠুরিতে রাখা হবে সুকন্যাকে। জেলে কিছু বই নিয়ে যেতে চেয়েছেন সুকন্যা। সেখানে গিয়ে অসুস্থ বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। কথা বলতে চেয়েছেন বাবার সঙ্গেও। 


রবিবার ছুটির দিন আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় সুকন্যাকে


তিহাড় জেলে যেতে হচ্ছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকেও। গরুপাচার মামলায় সুকন্যা মণ্ডলের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ। নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।  রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় এদিন সুকন্যাকে বিশেষ বিচারক নরেশকুমার লাকা-র এজলাসে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়। সুকন্যার তরফে জামিনের আবেদন করা হয়নি। আবার ইডি-র তরফেও তাঁর জামিনের বিরোধিতা করা হয়নি।


আইনজীবীর মাধ্যমে এ দিন সুকন্যা জানান, জেলে তাঁকে বই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক এবং তিনি টেলিফোনে বাবা ও বন্ধুর সঙ্গে ১০ মিনিট কথা বলতে চান। বিচারক জানান, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে জেল কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে, ইডি-র আইনজীবী জানান, সুকন্যার নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ও একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ফলে গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত-কন্যার যোগ রয়েছে বলেই তাদের অনুমান।


আরও পড়ুন: Mann Ki Baat: শততম ‘মন কি বাত’,বিশেষ গুরুত্ব নন্দীগ্রামকে, চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি


ইডি-র দাবি, গরুপাচারে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে তাদের অনুমান। এই বিষয়ে বিশদে জানতে সুকন্যাকে আরও জেরা করা প্রয়োজন। সেই কারণে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে না চাইলেও, জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়।


জেরায় সুকন্যা জানান, তিনি কোনও অপরাধ করেননি, কিছু জানেন না


যদিও গরুপাচারে তিনি কোনও ভাবেই যুক্ত নন বলে আগাগোড়া দাবি করে আসছেন সুকন্যা। ইডি-র জেরায় একদিন আগে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বলেও খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় সুকন্যা জানান, তিনি কোনও অপরাধ করেননি। ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই। শুধু তাই নয়, ইডি সূত্রে খবর, বান্ধবীর শরীর খারাপ, তার সঙ্গে কথাও বলতে ন সুকন্যা। কথা বলতে চান তিহাড়ে বন্দি বাবার সঙ্গেও। যদিও অনুব্রত-কন্যাকে ইডি-র তদন্তকারীরা জানান, তাঁদের হেফাজতে থাকাকালীন দেখা করা সম্ভব নয়।