প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) এ বার হাওয়ালা-যোগের অভিযোগ তুলল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। তাদের দাবি, বাংলাদেশের গরু পাচারকারীদের টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে এ রাজ্যে পৌঁছত। প্রোটেকশন মানি হিসেবে সেই ভাগ পৌঁছত বিএসএফ আধিকারিক, স্থানীয় পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতাদের কাছে।


অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জশিটে এ বার হাওয়ালাযোগ তুলে ধরল সিবিআই


বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বিরুদ্ধে জমা দেওয়া চার্জশিটেই এমন দাবি করেছে সিবিআই। ওই চার্জশিটে এক ব্যক্তির নামও উল্লেখ করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, মনোজ সানা নামে এক কর্মীর মাধ্যমে হাওয়ালার টাকা লেনদেন হত। মিলেছে একটি ডায়েরি। তাতে বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার, শাসকদলের নেতা ও পুলিশ অফিসারদের নাম রয়েছে।


এ দিকে, গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে হেফাজতে পেতে হাইকোর্টে জরুরি শুনানির আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রয়োজনে আজ ছুটির দিনে রাতেই হোক শুনানি বলে আর্জা ইডি-র। জরুরি শুনানি আর্জির একটি কপি পাঠানো হয় জেলবন্দি সায়গলের হাতেও। কিন্তু ইডি-র সেই আবেদনে সাড়া দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। 


আরও পড়ুন: Humayun Kabir : "৭৫ শতাংশ পুরনো নেতৃত্বকে সরিয়ে দেব", হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের


এই মামলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত শুনানির জন্য গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে আর্জি জানায় ইডি। প্রয়োজনে রবিবার ছুটির দিন, এমনকি রাতেও শুনানির শুনানির জন্য তারা প্রস্তুত বলে জানানো হয়। সায়গলকে নোটিস পৌঁছে দিতে আজ আসানসোল জেলেও যান ইডি-র আধিকারিকরা। যদিও ইডি-র আবেদনা সাড়া না দিয়ে মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনেই শুনানি হবে বলে হাইকোর্ট জানিয়েছে।


এর আগে সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডি-র আবেদন খারিজ করে দেয় আসানসোলের ভেকেশন কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের পর সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বর্তমানে আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী।


সীমান্তে বিএসএফ-এ গুলিতে মৃত্য়ু গরুপাচারকারীর!


 অন্য দিকে, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরুপাচারের সময় বিএসএফের গুলিতে এক পাচারকারীর মৃত্যু। খবর বিএসএফ সূত্রে। বিএসএফের দাবি, গতকাল রাতে সীমান্তে গরুপাচার আটকাতে যাওয়ায় ধারাল অস্ত্র নিয়ে জওয়ানদের ওপর চড়াও হয় পাচারকারীরা। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় বিএসএফ। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক গরুপাচারকারীর মৃত্যু হয়। খবর বিএসএফ সূত্রে।