কলকাতা: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (CBI) সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের। সিআইডি সিবিআই এতদিন কী করছিল, পাল্টা সুজন চক্রবর্তী। হুমকি দিয়ে লুঠের সাম্রাজ্য অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। আক্রমণে বিজেপি (BJP)। এদিন শান্তনু সেন (Santanu Sen) বলেন, 'পুরো বিষয়টিই বিচারাধীন, তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। তদন্ত চলছে, ওঁরা অভিযোগ করছেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখতে হবে। আমাদের বার্তা তো খুব পরিষ্কার, আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্তের ওপর, আইন ব্যবস্থার ওপর আস্থাশীল কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে।'


নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে গরু পাচার (Cow Smuggling)। দুই ক্ষেত্রেই কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর দুই ক্ষেত্রেই তদন্তে হদিশ মিলেছে কোটি কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ির। দুর্নীতির টাকার সঙ্গে কি এই দামি গাড়ির যোগ রয়েছে? তা এখন খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে ও স্ত্রীর নামে থাকা, ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারাজে পাঁচ-পাঁচটি গাড়ি।যার মধ্যে ৩টি গাড়ির মালিকানা রয়েছে অন্যের নামে। রাইস মিলে কেন রাখা ছিল অন্যদের গাড়ি? এই গাড়িতেই করেই কেন কলকাতায় এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল? এ নিয়েই তুঙ্গে বিতর্ক। তরজা শুরু হয়েছে রাজমনৈতিক মহলেও।


তিলপাড়া ব্যারেজ সংস্কারের কাজ পাইয়ে দিতে ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।  টেন্ডার পেতে ৪৬ লক্ষ টাকার গাড়ি দেওয়া হয়েছিল বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) সভাপতিকে। টাকা দেওয়া হয়েছে সায়গল হোসেনকেও। বিস্ফোরক দাবি করেছেন দুই ব্যবসায়ী। 


ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অন্যতম ডিরেক্টর অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ির এক গৃহকর্মী! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই সূত্রে। এমনকি মণ্ডল পরিবারের নামে থাকা দুটি কোম্পানির ঠিকানা ভোলে ব্যোম রাইস মিল হলেও, সেখানে মিলল না সেই সংক্রান্ত কোনও নথি! তাহলে কি ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা হচ্ছিল, উঠছে প্রশ্ন। 


বোলপুরে মণ্ডল পরিবারের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে অভিযান চালাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ল CBI। ৪০ মিনিট ধরে বাইরেই বসে রইলেন অফিসাররা। পরে ভিতরে ঢুকে প্রায় ছ’ঘণ্টা তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, দুটি আলমারি ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি।


আরও পড়ুন: Maniktala: ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, 'ভাল মেয়ে হতে পারলাম না' লেখা সুইসাইড নোট উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ