কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তের গতি নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে সিবিআই (CBI)। নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলায় তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আলিপুর বিশেষ আদালতের। আদালতে ধমক খেলেন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার প্রদীপ ত্রিপাঠী। সিবিআই আদৌ তদন্ত করতে জানে কিনা, প্রশ্ন তুলল আদালত। শুধু তাই নয়, সিবিআই-এর আবেদনকে বেআইনি আখ্যাও দেওয়া হল (SSC Case)।
বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে নথি টিকবে তো, প্রশ্ন বিচারকের
বুধবার আলিপুর বিশেষ আদালতে তদন্তের গতিপথ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রদীপ। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না? যে আবেদন করেছেন, তা পুরোপুরি বেআইনি। আপনারা যা করছেন, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য হব। না জানালে আমি বিপদে পড়ব।" "বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে, আপনাদের নথি টিকবে তো", এই প্রশ্নও ছুড়ে দেন বিচারক।
আদালত থেকে বেরনোর মুখে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রতীপ। আদালত যেখানে বলছেন তদন্ত করছে পারছে না সিবিআই, সেখানে তাঁর কী প্রতিক্রিয়া, জাবনে চাওয়া হয় প্রদীপের কাছে। কিন্তু কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। হন হন করে বেরিয়ে যান আদালত থেকে।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: 'পাঁচ মিনিট কথা বলতে চাই', আদালতে আবেদন পার্থর
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন শুনানি চলাকালীন তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন প্রদীপ। যাঁর নামে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, কেন কেস স্টাডিতে তাঁর নামের উল্লেখ নেই, জানতে চান বিচারক। একটি কাগজও তুলে ধরেন। ওই নথি বিচার শুরু হলে টিকবে কিনা, প্রশ্ন করেন।
বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ ১৩ জনকে তোলা হয় আদালতে
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ ১৩ জনকে আলিপুরের বিশেষ CBI আদালতে তোলা হয়। ধৃত সুব্রত সামন্ত রায়ের আইনজীবী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ৩ মার্চ CBI চার্জশিটে যে ১৫ জনের নাম রাখা হয়, তাতে সুব্রতর নাম ছিল না। তাতেই চটে যান বিচারক। অভিযুক্ত বলে কে বিবেচিত হন, চার্জশিট দেওয়ার নিয়ম কী, একাধিক প্রশ্ন করেন প্রদীপকে। তিনি কোনও মন্তব্য় না করলে, তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারক।