সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে (West Bengal Board of Primary Education) সিবিআই হানা। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পরই হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালতের নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।


হাইকোর্টের রায়ের পরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে সিবিআই  (CBI) হানা। পর্ষদের সার্ভার রুমে সিবিআই আধিকারিকরা। ডিজিটাল ডেটা এক্সপার্টকে সঙ্গে নিয়ে পর্ষদে হানা দেয় সিবিআইয়ের কয়েকজন সদস্যের দল। পর্ষদে থাকা যাবতীয় কম্পিউটারের নথি খতিয়ে দেখা, সংগ্রহ করার কাজ করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রসঙ্গত, এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে প্রায় ১৪ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।


কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ


প্রাথমিকে দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি বহাল রাখা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যর ও তার পরিবারের সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশও। 


সিঙ্গল বেঞ্চের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রাথমিক পর্ষদ। কেন ২৬৯ জনকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল তা আজ পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ওএমআর শিট সহ সিঙ্গল বেঞ্চের সামনে একাধিক নথি পেশ করেনি পর্ষদ। বারবার নথি চেয়ে কোন ভুল করেনি সিঙ্গেল বেঞ্চ। পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের।


পর্ষদের নথি ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ বহাল থাকবে। সিঙ্গল বেঞ্চ মামলার পর্যবেক্ষণ করবে, আদালতের নজরদারিতে দুর্নীতির তদন্ত হবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর রিপোর্ট চাইতে পারবে সিঙ্গল বেঞ্চ। নির্দেশ বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের। মানিক ভট্টাচার্য সংক্রান্ত নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। এর সঙ্গেই চাকরি থেকে বরখাস্ত ২৬৯ জন দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে পারবেন না, সেটাও জানিয়েছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।


কারা মামলা করেছিল:
প্রাথমিক মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক নির্দেশকে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল একাধিক পক্ষ। ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মানিক ভট্টাচার্য এবং চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা।


আরও পড়ুন- নিয়োগ-দুর্নীতি চক্রে কি মিডলম্যানদের মাধ্যমেই লেনদেন? পিছনে কোন প্রভাবশালী?