কলকাতা: ভুয়ো পাসপোর্ট-চক্রের হদিশ পেতে এবার রাজ্যজুড়ে সিবিআই হানা (CBI Raid)। কলকাতা, উলুবেড়িয়া, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, সিকিম-সহ ৫০ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় ১৬ জন সরকারি আধিকারিক-সহ ২৪ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে। শিলিগুড়ির হোটেলে আটক পাসপোর্ট অফিসের এক সুপারিনটেন্ডেন্ট, উদ্ধার ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।


সালটা ২০২১। হরিদেবপুরে আন্তর্জাতিক জাল পাসপোর্ট চক্রের হদিশ মিলেছিল সেবার। চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছে মিলেছিল ৮৬টি পাসপোর্ট। ধৃতকে জেরা করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এরপর দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে কলকাতার হরিদেবপুরে গ্রেফতার হয় জাল পাসপোর্ট চক্রের মূল পাণ্ডা নন্দকিশোর প্রসাদ।


মূলত এই তদন্তের শুরু রাজধানীতে। বাড়িওয়ালা জানিয়েছিলেন, আমার কাছে দালালের মাধ্যমে ভাড়া নেয়।  এ বিষয়ে জানতাম না। পুলিশ সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের মহাত্মা গান্ধী রোডে ধৃতের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৮৬টি পাসপোর্ট। মিলেছিল ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্ট্যাম্প, ভারত সরকারের হলোগ্রাম, রাশিয়ার ভুয়ো ভিসা, টাকা গোনার মেশিন।ও


সম্প্রতি পাসপোর্ট সংক্রান্ত পরিষেবা পেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের জাল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে সতর্ক হতে বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে,অনেক ভুয়ো ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ আবেদনকারীদের কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করছে। পাসপোর্টের নামে প্রচুর ফিও নিচ্ছে কোম্পানি।


ভারতে ডিজিটালাইজেশেন বৃদ্ধি পাওয়ার পরই বেড়ে গিয়েছে অনলাইন প্রতারণা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশবাসীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তথ্য় হাতাচ্ছে জালিয়াতরা। সেই ক্ষেত্রে অনলাইনে গড়ে তোলা হয়েছে জাল ওয়েবসাইটের কারবার। সম্প্রতি পাসপোর্ট পরিষেবা সংক্রান্ত এমনই কিছু ভুয়ো ওয়েবসাইটের নাম পায় কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই নাগরিকদের সচেতন করতে সতর্কবার্তা দেয় কেন্দ্র। 



আরও পড়ুন, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান


যেখানে বলা হয়েছে, 'পাসপোর্ট পরিষেবা অফার করে এমন অ্যাপ দেখে প্রতারিত হবেন না। বেশ কয়েকটি জাল ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আবেদনকারীদের কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করছে। এই প্রতারকরা অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করতে ও পাসপোর্ট সম্পর্কিত পরিষেবাগুলির জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণের জন্য অতিরিক্ত ফি চার্জ করছে।' এই জাল ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে কিছু org ডোমেইন নামে রেজিস্টার রয়েছে। কিছু IN এক্সটেনশন দিয়ে নিবন্ধিত হয়েছে। বাকি কিছু ভুয়ো ওয়োবসাইট .com এক্সটেনশন দিয়ে বাজারে জালিয়াতি করছে। তাই আগে থাকতে সাবধান হোন।