আলিপুরদুয়ার: সমবায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে সাতসকালে আলিপুরদুয়ারে অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। মূলত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ পেয়েই ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আলিপুরদুয়ারে একযোগে তিন জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। সমবায় সমিতির ম্যানেজার তৃপ্তিকণা চৌধুরীর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে ৩ সদস্যের সিবিআই টিম।


প্রসঙ্গত, আগে CBI, ED-কে শুধু দক্ষিণবঙ্গে দেখা যেত। বাম ও তৃণমূলের দৌলতে এখন আলিপুরদুয়ারেও পা রাখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সমবায় দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে এবার এভাবেই, বাম ও তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা (Manoj Tigga)। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, আলিপুরদুয়ারে সমবায় দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে CBI ও ED। জেলায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরাও। সম্প্রতি এই প্রেক্ষাপটে এবার সমবায় দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে উত্তরবঙ্গেও তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি ও বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। একইসঙ্গে বিগত বাম আমলকেও বিঁধেছেন তিনি।


রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে সেই তালিকায় এবার সমবায় দুর্নীতিও। সম্প্রতি গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খাসেরচক চকগোবিন্দ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ১৬ জুন সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এরপর চলতি বছরের ২৭ জুন সমবায়ের ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠায়, সোনারপুরের লাঙলবেড়িয়া অঞ্চল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের অফিসের সামনে বিক্ষোভ চালিয়েছি আমানতকারীরা। প্রায় ১০ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা ফেরত নিয়ে প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আমানতকারীরা। এরপর কামালগাজি-বারুইপুর বাইপাসের গোবিন্দপুরে ঘণ্টাতিনেক ধরে অবরোধ চলে। 


আরও পড়ুন, আজ পেট্রোল সস্তা কোন শহরে ? কী দরে বিকোচ্ছে ডিজেল কলকাতায় ?


উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। আমানতকারীদের আক্ষরিক অর্থেই পথে বসার জোগাড়। সোনারপুরেও রাজ্যের আরও এক সমবায় সমিতিতে উঠেছে ১০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ। সমবায়েরই আধিকারিকদের একাংশ এতে জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন আমানতকারীরা। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি, বলে অভিযোগ তাঁদের।