কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরকে এবার তলব করেছে সিবিআই (CBI)। বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী এবং কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে আজই নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। দেবরাজ CBI দফতরে যাচ্ছেন বলে জানালেও, বাপ্পাদিত্যর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


দুই কাউন্সিলরকে তলব: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ৩০ নভেম্বর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর পাটুলির বাড়ি এবং বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর তেঘরিয়া ও দমদম পার্কের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় সিবিআই। এই তল্লাশির বিষয়ে এর আগে দেবরাজ জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে এসেছিলেন। সেই অনুযায়ী তল্লাশিও চালান তাঁরা। যদিও সিবিআই প্রাসঙ্গিক কিছু পায়নি দাবি করেন দেবরাজ। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তার দূর দূরান্তেও কোনও সম্পর্ক নেই। 


এই তল্লাশির পর সিবিআই সূত্রে জানা যায়, দেবরাজের বাড়ি থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মিলেছে। দেবরাজ চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, "আমি না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত, না আমি নিজে টিচার, পরিবারে কেউ টিচার নেই। ওঁরা মনে করেছেন আমার বাড়িতে আসা দরকার, এসেছেন, রেড করেছেন। ওঁরা যা যা ডিটেলস চেয়েছিলেন, ব্য়াঙ্ক স্টেটমেন্ট, ব্য়াঙ্কের পার্সোনাল ডিটেলস, যা যা চেয়েছিল দিয়েছি।'' আর এই তল্লাশির দু মাস না পেরোতেই এবার তৃণমূল কাউন্সিলরকে তলব করেছে সিবিআই। 


এদিকে SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, বাড়ি-অফিসে ম্যারাথন তল্লাশির ৮ দিনের মাথায় এবার মিডলম্যান প্রসন্ন রায়কে তলব করল ED। সূত্রের খবর, প্রসন্ন ED-কে জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় আজ নিজাম প্যালেসে CBI দফতরে যাবেন। তাই ED-র দফতরে যেতে পারছেন না। ED সূত্রে খবর, প্রসন্নকে প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয়। তাঁর সামনেই প্রসন্নর মোবাইল ফোন খোলা হবে ED সূত্রে খবর। ED-র দাবি, তল্লাশিতে প্রসন্নর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে, ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করে কীভাবে সাড়ে চারশোরও বেশি সম্পত্তির মালিক হলেন প্রসন্ন? নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই কি ঘুরপথে বিনিয়োগ করা হয়েছে? সেই টাকায় বেনামে কেনা হয়েছে প্রভাবশালীদের সম্পত্তি? ED-র প্রশ্ন, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা মিডলম্যানের হাত ধরে কার কার পকেটে গিয়েছিল? কোটি কোটি টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে? প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিয়োগ দুর্নীতির মানি ট্রেল খুঁজে বার করাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের উদ্দেশ্য। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'গাড়ির গতি ভারতে ২০০ কিমি হয় কি না জানা নেই' মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ