প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : কালীঘাটের ( Kalighat ) কাকু'কে সিবিআই ( CBI ) তলব । নিজাম প্যালেসে 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । গতকাল রাতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নোটিস দেয় সিবিআই ।
সূত্রের খবর, গতকাল রাতে নোটিস পাঠানো হয়। সকাল ১১টার কিছু আগে নিজাম প্যালেসে হাজির হন কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কুন্তল ঘোষের মুখে কালীঘাটের কাকুর কথা শুনেছিলেন বলে দাবি করেন তাপস মণ্ডল। এরপর গোপাল দলপতির মুখেও উঠে আসে কালীঘাটের কাকুর নাম। এই 'কালীঘাটের কাকু' শব্দবন্ধ প্রথমবার শোনা যায়, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির মুখে। তিনি বলেছিলেন, কালীঘাটে কাকুর কাছে টাকা পাঠাতে হবে। বারবার বলতেন কুন্তল ঘোষ ।
এবার এই কালীঘাটের কাকুর থেকে কী জানতে চাইবে সিবিআই ? প্যালেসে ঢোকার সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রী অসুস্থ । তবু তিনি এসেছেন। নইলে সিবিআই বলতে পারে তিনি তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। তিনি আরও বলেন, একটা কাগজে লিখে সিবিআই ডেকে পাঠায়। কী লেখা আছে , তিনি তা বলতে পারেননি। তবু তিনি হাজির হয়েছেন আইনজীবী নিয়ে।
কে এই 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র? কালীঘাটের সঙ্গে তাঁর যোগযোগ কোথায়? তিনি কতটা প্রভাবশালী? নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে? এনিয়ে, রাজ্য-রাজনীতিতে উথালপাথালের মধ্য়েই, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল সামনে আলেন কালীঘাটের রহস্যময় কাকুর নাম। 'কালীঘাটের কাকু' হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, বলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল।
এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সুজয় খোলসা করলেন তাঁর কালীঘাট-কানেকশন। তিনি বলেন ' তাপস মণ্ডলকে চিনি না, এই জায়গার কী নাম, আমার কর্মস্থল নিউ আলিপুর, কালীঘাটের কাকু কোথা থেকে এল, আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। যারা বলছে তারা এই ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। '
বালিগঞ্জে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল-যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্য়ুইটারে লিখেছিলেন, ' কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা - সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতই ধোয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো।'