কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: ছাত্রছাত্রীদের মর্জি মতো কি সিসিটিভি বসবে যাদবপুর ক্যাম্পাসে (Jadavpur University)? কোথায় বসবে ক্যামেরা, কে মনিটর করবে- বসানোর আগে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে উঠে এল এই দাবি। কবে সিসিটিভি বসবে না জানাতে পারলেও পড়ুয়াদেরকে যে আগে জানানো হবে, তা জানাল কর্তৃপক্ষ।                               


পড়ুয়াদের মর্জিতে যাদবপুর ক্যাম্পাসে সিসিটিভি? ৯ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর, ছাত্রমৃত্যুর ৩ সপ্তাহ পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিক করতে পারল না, কোথায় বসবে সিসিটিভি। ছাত্র, গবেষক, অধ্যাপক থেকে শিক্ষাকর্মী - শুক্রবার সবার সঙ্গে বৈঠক করে কর্তৃপক্ষ। উপলক্ষ, র‍্যাগিং রোধের ওষুধ খোঁজা এবং জোরদার করা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা। বৈঠকে একাধিক ছাত্র সংগঠন দাবি করেছে, ক্যামেরা কোথায় বসবে, কে নিয়ন্ত্রণ করবে- তা বসানোর আগে তাদেরকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের এই দাবি মেনেও নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। AFSU-র ছাত্রনেতা অনুষ্টুপ চক্রবর্তী বলেন, “সিসিটিভি বসানোর ব্যাপারে আমাদের আপত্তি নেই। তবে কোথায় বসবে, কে মনিটর করবে, তা জানাতে হবে। লিখিতভাবে জানাতে হবে।’’ এবিষয়ে স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “ছাত্ররা জানিয়েছে, আগে জানাতে হবে। ২-৩ দিনের মধ্যে উপাচর্য জানিয়ে দেবেন। এক্স সার্ভিসম্যানের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’

কিন্তু সিসি ক্যামেরা কোথায় বসবে, কে নিয়ন্ত্রেণ করবে- তা পড়ুয়াদের জানাতে হবে কেন? ছাত্রমৃত্যুর ২২ দিন পরেও সিসিটিভি কবে বসবে তা কেন ঠিক করতে পারল না কর্তৃপক্ষ? যাদবপুরের নিরাপত্তায় প্রাক্তন সেনাকর্মীদের বিষযে কোন আপত্তির কারণে এখনও সিদ্ধান্ত হল না? সিসিটিভি কবে বসবে সেই প্রশ্নে, আজব ব্যাখ্যা শোনা গেল রেজিস্ট্রারের মুখে। স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “আজ বললে তো কাল হয় না। ১৫ দিন সময় লাগতে পারে।’’                                     

গত ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার এক পড়ুয়ার। ওঠে র‍্যাগিং-এর অভিযোগ। শোরগোল শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। ঘটনায় ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ। সিসিটিভি বসানো নিয়ে কর্তৃপক্ষের এই দীর্ঘসূত্রিতা, সেই অভিযোগ আরও জোরালো করছে না কি? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।


আরও পড়ুন: I.N.D.I.A: প্রাথমিকভাবে দেশের ৫ শহরে জনসভার সিদ্ধান্ত, বিরোধী জোটের পরবর্তী বৈঠক দিল্লিতে