সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নিয়োগের দাবিতে এবার ধর্নায় বসলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্যরা। মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির নীচে ৩ দিনের ধর্না শুরু করলেন তাঁরা। অবিলম্বে প্রাথমিকে নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের এই ধর্না। আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০০৯ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ২০১০ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্য়ানেলও প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু, দুর্নীতির জেরে প্য়ানেল বাতিল হয়ে যায়। ২০১৪ সালে ফের পরীক্ষা নেওয়া হয় । সাড়ে ৭ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে সাড়ে ৪ হাজার। দীর্ঘ ৭ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগ না হওয়ায় ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। প্য়ানেল প্রকাশ করে নিয়োগের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ৩২৮টি শূন্য় পদ এখনও পড়ে রয়েছে । গত মার্চে মেধার ভিত্তিতে শূন্য় পদ পূরণ করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারপরেও নিয়োগ না হওয়ায় ধর্নায় বসলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
নিয়োগের দাবিতে, গান্ধীমূর্তির নীচে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে লাগাতার ধর্না-আন্দোলন চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কোথাও ধর্নায় বসেছেন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। আবার কোথাও একটানা ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন নবম-দশমের চাকরিপ্রার্থীরা। মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির নীচে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না শুক্রবার ৯০১ দিনে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার গান্ধীমূর্তির নীচেই নিয়োগের দাবিতে ৩ দিনের ধর্না শুরু করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষক চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্যররা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০০৯ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০১০ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়, প্য়ানেলও প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কিন্তু, দুর্নীতির জেরে প্য়ানেল বাতিল হয়ে যায় ২০১৪ সালে ফের পরীক্ষা নেওয়া হয় সাড়ে ৭ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে সাড়ে ৪ হাজার। দীর্ঘ ৭ বছর অপেক্ষার পর নিয়োগ না হওয়ায় ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। প্য়ানেল প্রকাশ করে নিয়োগের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
প্রাথমিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের শূন্য পদ ছিল ১ হাজার ৮৩৪টি কিন্তু, ১ হাজার ৫০৬ জনের নামের প্যানেল প্রকাশিত হওয়ায় ৩২৮টি শূন্য় পদ পূর্ণ বাকি রয়েছে গত মার্চে মেধার ভিত্তিতে শূন্য় পদ পূরণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরেও নিয়োগ না হওয়ায় ধর্নায় বসলেন চাকরিপ্রার্থীরা। একদিকে, চলছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। আর অন্য়দিকে, নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না-আন্দোলন আরও বাড়ছে।