বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রাম দিবস (Nandigram Dibas) উপলক্ষ্যে আয়োজিত তৃণমূলের (TMC) সভায় (Meeting বিশৃঙ্খলা (chaos)। মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন তা নিয়ে দলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (kunal ghosh) সামনেই হাতাহাতি। শহিদ স্মরণে নীরবতা পালনের (silence) পর বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল। 

কী থেকে গণ্ডগোল?নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষ্যে এদিন একই জায়গায় দুটি আলাদা সভা করছে বিজেপি ও তৃণমূল। দুপুরে গোকুলনগরে পদযাত্রা করবেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর সকালে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভা ছিল শাসকদলের। সেখানেই গণ্ডগোল। জানা যাচ্ছে, শহিদ মঞ্চে মালা দেওয়ার পর মূল মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন, কোন নেতা বক্তব্য রাখবেন এই নিয়েই গোলমাল বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় নেতারা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁরা কথা শোনেননি। পরে কুণাল ঘোষ নিজেই কথা বলার আশ্বাস দেন। এর পর শহিদ স্মরণে নীরবতা পালনের পরই বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুরু হয়েছে অনুষ্ঠান।  

কী বললেন কুণাল?'বিষয়টা অনেকক্ষণ দেখেছি। একটা আওয়াজ যেন না হয়... আমি অন্তত আধঘণ্টা আগে এখানে এসেছি। তোমরা অন্তত তখন বলতে পারতে', বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা ছিল তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের। প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকের দায়িত্ব কুণাল ঘোষের কাঁধে তুলে দিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ও হলদিয়া পুরভোটের আগেই কুণালকে এই দায়িত্ব দেয় শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, ওই দিন থেকেই কুণালকে হলদিয়া থেকে কাজ শুরুর নির্দেশও দেওয়া হয়। হলদিয়া, নন্দীগ্রাম-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে এবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেদিনই দুই বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। দায়িত্ব পেয়েই কি শুভেন্দু-গড়ে ভাঙন ধরানোর কাজ শুরু করলেন কুণাল, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল সেই দিন থেকেই। কিন্তু এই দিন অশান্তি দেখে এক সময় সেই কুণালকেই বলতে শোনা যায়, 'শহিদ-তর্পণের দিনে এমন যদি করেন তা হলে আমাকে বলতেই হচ্ছে যে অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করতে কেউ আপনাকে পাঠিয়েছে।'

আরও পড়ুন:বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা, অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন